আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জুকারবার্গকে বিঁধতে তৈরি মার্কিন কংগ্রেস
ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ফেসবুক। কর্তা মার্ক জুকারবার্গ আরো একটা সুযোগ চাইছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তাকে আরো কোণঠাসা করতেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে মার্কিন কংগ্রেস। তথ্য চুরি থেকে শুরু করে মার্কিন ভোট ও ব্রেক্সিটে হস্তক্ষেপ, এমনকি রোহিঙ্গা-সংকটেও এই সোশ্যাল মিডিয়ার ‘কালো হাত’ রয়েছে বলে অভিযোগ। যার জেরে শেয়ার বাজারের পাশাপাশি ধস নামতে শুরু করেছে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যাতেও। এমনই টালমাটাল পরিস্থিতিতে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলা কংগ্রেসের দুটি শুনানিতে হাজিরা দেওয়ার কথা জুকারবার্গ। এর আগে গোটা একটা দশক ধরে মার্কিন কংগ্রেসকে টানা এড়িয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু এ বার যে তার রক্ষা নেই, আজ তারই ইঙ্গিত দিলেন ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথাল। তার কথায়, ‘প্রযুক্তি শিল্পে সময়টা বড় ভয়ানক। এ বার সব হিসেব বুঝে নিতেই হবে।’
মঙ্গলবার সেনেটের বাণিজ্য এবং বিচারবিভাগীয় কমিটির ডাকা যৌথ শুনানিতে হাজিরা দিতে হবে জুকারবার্গকে। টেবিলের ওপারে থাকবেন প্রায় ৪৩ জন সদস্য, সেনেটের প্রায় অর্ধেক অংশ। সূত্রের খবর, কংগ্রেসর একটা বড় অংশ ফেসবুক কর্তার থেকে ‘ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা’ সম্পর্কে জবাবদিহি চাইবেন।
অভিযোগ, মার্কিন ভোটের সময়ে এই সংস্থার হাতেই নেটিজেনদের বিস্তর ব্যক্তিগত তথ্য তুলে দেয় ফেসবুক।
২০১৫ সালে অ্যানালিটিকা-কা-ের কথা প্রথম উঠে আসে। তারপর এ নিয়ে গত মাসেই জুকারবার্গকে কংগ্রেসে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সংস্থার দাবি, তারপরেই একাধিক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ায় সেখানে যেতে পারেননি জুকারবার্গ। এ বার তাকে আসতেই হচ্ছে। আর প্রশ্নপত্র যে আরো কঠিন হবে তা-ও টের পাচ্ছেন তিনি। রিপাবলিকান সেনেটর বলছেন, ‘যাবতীয় বিতর্কের মধ্যেও আমি জানতে চাইব, ভবিষ্যতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপদ রাখতে কী কী পদক্ষেপ করছে তারা। নাকি, এ ভাবেই তথ্য বেহাত হয়ে যাবে আগামী দিনেও।’
জুকারবার্গ অবশ্য বলছেন, ফেসবুক ঢেলে সাজার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আরো কয়েকটা বছর সময় লাগবে একে নিñিদ্র করতে। ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি সেটিংসে পরিবর্তন আনতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ। ফেসবুকে ইমেল বা ফোন নম্বর দিয়ে কারো প্রোফাইল খোঁজার ব্যবস্থাও উঠে যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
কড়া নজর রাখা হচ্ছে ফেসবুকে জনপ্রিয় সব পেজের ওপরেও। এই সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ভুয়া খবর ছড়ানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তা সামাল দিতেই এবার জনপ্রিয় পেজের পরিচালকদের পরিচয় যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছে জুকারবার্গের সংস্থা। পরিচয় গোপন করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে কি না, দেখা হবে তা-ও।
"