আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ মার্চ, ২০১৮

অনার কিলিং : খুনি আফগান দম্পতিকে ফেরত পাঠাবে কানাডা

অনার কিলিংয়ের নামে তিন মেয়েসহ চারজনকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত এক অভিবাসী দম্পতির কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার বাতিল করা হয়েছে। কারাদন্ড শেষ হওয়ার পর মোহাম্মদ শাফিয়া ও তার স্ত্রী তুবা ইয়াহিয়াকে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে বলে খবর বিবিসির।

তিন মেয়ে জয়নব (১৯), সাহার (১৭), গীতি (১৩) ও শাফিয়ার প্রথম স্ত্রী রোনা আমির মোহাম্মদকে (৫২) হত্যার দায়ে ২০১২ সালে এই দম্পতিকে ২৫ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ছেলে হামেদও একই মেয়াদের সাজা ভোগ করছে। গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার প্রত্যাহার করতে পারে কানাডার বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি; এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করারও সুযোগ থাকে না।

শাফিয়া-তুবা দম্পতি ১৯৯২ সালে দেশ ছাড়ে; অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও দুবাই হয়ে ২০০৭ সাল থেকে কানাডায় বসবাস শুরু করে তারা। গত শুক্রবার কানাডার অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বোর্ড আইআরসি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শাফিয়ার স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানায়। বৃহস্পতিবার মন্ট্রিয়লের আদালতে শুনানি শেষে তুবা ইয়াহিয়ার ব্যাপারেও একই সিদ্ধান্ত হয়। তাদের ছেলে হামেদের নাগরিকত্ব বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও আইআরসি জানিয়েছে।

২০০৯ সালে অন্টারিওর কিংস্টনের একটি খালের মধ্যে নিমজ্জিত গাড়িতে জয়নব, সাহার, গীতি ও রোনা আমিরের মৃতদেহ পাওয়া যায়। বড় দুই মেয়ে ছেলে বন্ধু চাওয়ায় শাফিয়া-তুবা দম্পতি ক্রুদ্ধ হয়ে এ কান্ড ঘটান বলে পরে আদালতে জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।

তারা বলেন, ছেলেদের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক এবং খোলামেলা পোশাক পরায় শাফিয়া তিন মেয়ের ওপর ধারাবাহিকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন। পুরুষ আত্মীয়দের অবজ্ঞা করে ১৯ বছর বয়সী জয়নব আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার পর চার নারীকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলেও তদন্তে প্রমাণিত হয়।

রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে গিয়েও ব্যর্থ হন শাফিয়া, তুবা ও হামেদ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist