আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চিতার হাত থেকে বাঁচতে...
শিকার ধরার সময় চিতাই সবচেয়ে ক্ষিপ্রগতির চতুষ্পদ প্রাণী। তাই চিতা ধাওয়া করলে পালিয়ে বাঁচার সম্ভাবনা নেই। এমন ধারণা পোষণ করেন অনেকে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজ ও ইউনিভার্সিটি অব বোটসওয়ানার একদল গবেষক বলেছেন, চিতার ধাওয়া থেকেও বেঁচে ফেরা সম্ভব। এমন পরিস্থিতিতে যদি কেউ পড়েন, তবে হতাশ না হয়ে যেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাঁচার চেষ্টা করেন।
গবেষকদলের প্রধান প্রফেসর এলান উইলসন বলেছেন, গতিই সব নয়। এটা তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, চিতার মতো হিংস্র জন্তু থেকে বাঁচতে হলে জোরে দৌড়ে লাভ হবে না। কারণ, গতি দিয়ে তাদের পরাজিত করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সাহস রেখে কৌশল খাটাতে হবে। সেই কৌশল হচ্ছেÑ‘দ্রুত দিক পরিবর্তন করা’। তারা লক্ষ্য করেছেন প্রচুর সংখ্যায় হরিণ এবং জেব্রা এই কৌশল খাটিয়ে সিংহ এবং চিতার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যায়। এটি মানুষকেও শিখতে হবে।
গবেষক উইলসন আরো বলেন, চিতা যখন কারো ওপর ঝাঁপ দেবে তখনই হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে ডানে কিংবা বামে ঝাঁপ দিতে হবে। এতে প্রচ- গতির কারণে চিতা বেশ খানিকটা সামনে চলে যাবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শিকারের হাতে ধোঁকা খেয়ে চিতা হতাশ হয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার পালিয়ে যাওয়া দেখে। পরে হয়তো ধীর পায়ে ভিন্ন কোনো শিকারের সন্ধানে হাঁটা ধরে।
তবে তারা বলেছেন, নিজের ইচ্ছেমতো দিক পরিবর্তন করলে কাজ হবে না। তখন চিতাও দিক পরিবর্তন করে পিছু নেবে। ধাওয়া করতে করতে চিতা একটা সময় শিকারের ওপর ঝাঁপ দিয়ে তাকে ঘায়েল করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওটাই তার শিকার ধরার ‘শেষ ধাপ’। এই ধাপেই যদি তাকে কোনোক্রমে ধোঁকা দেওয়া যায়; তবে বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কারণ এই ধাপে ব্যর্থ হলে সে হাল ছেড়ে দেয়। তাদের এই গবেষণার ফল নেচার জার্নালেও প্রকাশ করা হয়েছে।
"