আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পুতিনপন্থিদের কালো তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ অনুসারী প্রভাবশালী রাজনীতিক ও ধনকুবের অভিজাতদের একটি কালো তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অংশ হিসেবেই এই কালো তালিকা প্রকাশ। মার্কিন ও পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো তালিকাকে ‘পুতিন-তালিকা’ নামেও অভিহিত করছে। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত সোমবার মার্কিন ট্রেজারি দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তালিকায় খোদ রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও রয়েছেন। এই তালিকা প্রকাশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন।
তিনি বলেছেন, মার্কিনিদের প্রকাশিত এই তালিকায় যাদের নাম আছে শুধু তাদেরকেই নয়, বরং গোটা রাশিয়ার জনগণকেই কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই অবন্ধুসুলভ বৈরিতার হীন মনোভাব দুদেশের সম্পর্ককে জটিল থেকে আরো জটিল করে তুলবে। তবে আমরা চাই না পরিস্থিতির অবনতি হোক। বৈরিতার পথে না গিয়ে, এসব নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট না করে আমরা বরং নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকব এবং নিজেদের অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করব। তালিকায় নিষিদ্ধ ২১০ জনের মধ্যে ১১৪ জন বর্ষীয়ান রুশ রাজনীতিক এবং ৯৬ জন অভিজাত ধনকুবের। বিশ্বের সেরা ধনকুবেরদের অন্যতম ইংলিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিক রোমান আব্রাহিমোভিচের নামও রয়েছে এই কালো তালিকায়। তালিকা প্রকাশকে সামনে রেখে প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ গত সোমবার এক আগাম প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় ১৮ মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার পাঁয়তারা থেকেই নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও বিশিষ্ট রুশ নাগরিকদের কালো তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, তার এই প্রতিক্রিয়া প্রকাশের ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই কালো তালিকাটি প্রকাশ করল ট্রাম্প প্রশাসন। তালিকায় দিমিত্রি পেশকভের নিজের নামটিও রয়েছে। কালো তালিকাভুক্তদের নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে রাশিয়া দাবি করলেও ট্রাম্প প্রকাশন বলছে, কালো তালিকাভুক্ত করা হলেও এই বিশিষ্ট অভিজাত ব্যক্তিরা নতুন নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু নন। বরং এদেরকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের নানাবিধ অন্যায়ের পৃষ্ঠপোষক ও সুবিধাবাদী কুচক্রের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
"