আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গুম করে পিস্তলের মুখে যুবকের বিয়ে
ভারতের পাটনায় বিনোদ কুমার নামে এক যুবককে পিস্তলের মুখে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২৯ বছর বয়সী বিনোদকে প্রথমে গুম করা হয়, পরে বিয়ের সকল নিয়ম-রীতি পালন করতে তাকে বাধ্য করা হয়। যখন বিনোদ তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য যখন কাঁদতে থাকে, তখন কনেপক্ষের নারীরা তাকে মানানোর চেষ্টা করে, কেউ কেউ এসে চোখের পানি মুছে দিতে থাকে। কিন্তু বিয়ে করতে একেবারেই নারাজ বিনোদ। যখন কনেকে সিঁদুর পরানোর সময় এলো, বিনোদ বারবার অনুরোধ করে বলেন, তিনি সিঁদুর পরাবেন না। তখন কনেপক্ষের কয়েকজন নারীকে বলতে শোনা যায়, তোমাকে আমরা বিয়েই করাচ্ছি, ফাঁসিতে ঝোলাচ্ছি না।
বিনোদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানায়, তিনি এক বন্ধুর বিয়েতে গিয়েছিলেন। সেখানে সেই কনের এক আত্মীয়ও যান। সেখানে পিস্তলের মুখে তাকে তুলে নিয়ে আসে আর বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। বিনোদের এই অভিযোগ এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গত মাসে বিনোদ সময়মতো বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়ে তার ভাই সঞ্জয় কুমার। তারপরই অপরিচিত এক নম্বর থেকে একটা ফোন আসে। জানায়, তার ভাইকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার কথা। সঞ্জয় ভারতীয় গণমাধ্যম জানান, গত ৩ ডিসেম্বর আমার ভাই বোকারো এলাকা থেকে হাতিয়া-পাটনা রুটের ট্রেনে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য যায়। সেখানে ওই কনের ভাই সুরেন্দ্র যাদব তাকে নানা কৌশলে মোকামায় নিয়ে আসেন। সেখান থেকে তাকে অপহরণ করে পরে পান্দারাক এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে আমার ভাইকে জোর করে ওই নারীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এ ব্যাপারে সাহায্য করতে চায়নি বলে অভিযোগ করেন সঞ্জয় কুমার। সঞ্জয়ের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পান্দারাক থানার কর্মকর্তা প্রভাকর বিশ্বকর্মা। তিনি নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, যেহেতু অপহরণের ঘটনাটি মোকামায় ঘটেছে, তাই আমি ওই যুবকের পরিবারকে মোকামায় একটি অপহরণের মামলা করতে বলি। পরে সঞ্জয় পাটনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মানু মহারাজের কাছে যান।
"