নানা কারণে আমরা কষ্ট পেয়ে থাকি। বেঁচে থাকতে হলে আমাদের বারবার বিভিন্ন ধরনের কষ্টকে মেনে নিতেই হবে। তবে কেউ যদি কষ্ট মনে পুষে রাখেন এবং চিন্তায় পড়ে যান, তাহলে তার হৃৎপিন্ডে সমস্যা হতে পারে। যারা কষ্টে উদ্বেগ আর অহেতুক টেনশন করেন, তাদের অবশ্যই তা দূর করার চিকিৎসা জরুরি। কিন্তু উদ্বেগ বা চিন্তাকে দূরে রাখতে বললেই তা চলে যায় না। আমাদের চারপাশের নানা কর্মকান্ড এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তার উদ্ভব হয়। চিন্তা মানসিক স্বাস্থ্যকে নষ্ট করে। একদিকে চিন্তা থেকে মেন্টাল ডিজঅর্ডার বা মানসিক জটিলতা তৈরি হয়; অন্যদিকে এর মধ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে বুকের ব্যথা। যারা অল্প কষ্টেই মানসিক চাপে ভুগে থাকেন, তাদের অবশ্যই তা কমাতে হবে। এ জন্য ব্যায়াম করা যেতে পারে। ব্যায়াম মানুষের চাপ বা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। তবে চিন্তা যেমন বেশি করা ভালো নয়, ব্যায়ামও তেমনই বেশি করা ভালো নয়। বেশি ব্যায়াম মনের চাপ কমালেও শরীরের ওপর আবার চাপ তৈরি করতে পারে। সকালে ব্যায়াম সবচেয়ে ভালো। কারণ তা মনকে সারা দিন সতেজ রাখতে সাহায্য করে। চা, কফি বা চকলেট জাতীয় খাবার মানুষের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে। বেশিরভাগ মানুষ এসব না খেয়ে চলতেও পারে না। এগুলো যতটা কম গ্রহণ করা যায় ততই উদ্বেগ নিরসনে কার্যকর। চিনি হচ্ছে রিফাইন বা প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট। এ ধরনের খাবার শরীরে সরাসরি বেশি গেলে তা উদ্বিগ্নতা বা উদ্বেগ বাড়াতে পারে। বেশি পরিমাণ ভিটামিন জাতীয় খাবার শরীরের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘সি’ চাপ কমায় এবং ভিটামিন ‘বি’ নার্ভকে স্বাস্থ্যবান রাখে।

"