ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস
কফ-কাশির সঙ্গে অ্যালার্জির সম্পর্ক
ভাইরাসজনিত কাশির ক্ষেত্রে সচরাচর কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয় না। এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই এ কাশি সেরে যায়। দীর্ঘস্থায়ী কাশির ক্ষেত্রে প্রথমেই খুঁজে বের করতে হবে কাশির অন্তর্নিহিত কারণ। অ্যাজমা, রাইনাটিস, সাইনোসাইটিস, অন্ত্রের সমস্যা-এগুলোর যে কোনোটি কাশির কারণ হতে পারে। গুয়াইফেনেসিন জাতীয় কফ সিরাপ প্রয়োগে তেমন ফল পাওয়া যায় না। ডেক্সোমেথরফেন জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে, তবে খুব ভালো ফল পাওয়া যায় না। যেসব সিরাপের মধ্যে কোডেইন থাকে, সেগুলো বেশ কার্যকর। তবে এ জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব বেশি। তাই বেশি দিন এ ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। সারকথা হচ্ছে, দীর্ঘস্থায়ী কাশির মূল কারণ খুঁজে বের করে তার চিকিৎসা করতে হবে। যদি কাশির ধরন পরিবর্তিত হতে থাকে, উপসর্গকারী ওষুধে কোনো ফল না হয়, কাশির সঙ্গে রক্ত আসতে থাকে অথবা কাশির কারণে রাতে ঘুম ও দিনে কাজের ব্যাঘাত ঘটে তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
"