স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম
সুস্থ দেহে মানুষের দীর্ঘ জীবনের রহস্য কী? বিজ্ঞানীরা এই রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছেন বহু দিন যাবৎ। সুস্থ দেহে পরমায়ু লাভের পেছনে প্রধান নিয়ামক মনে করা হচ্ছে পর্যাপ্ত ঘুমকে। এ বিষয়ে জানার জন্য দীর্ঘ জীবন লাভকারী বেশ কিছু লোকের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১০০ এবং তদূর্ধ্ব বছরের প্রায় ২ হাজার ৮০০ জন অংশগ্রহণ করে। সমীক্ষায় দেখা যায়, শতায়ুদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৬৫ ভাগ জানিয়েছে, তাদের ঘুম ভালো বা খুব ভালো। দিবানিদ্রাসহ তাদের গড়ে দৈনিক ঘুমের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, শতকরা ৭০ ভাগ জানিয়েছে, ১০০ এবং তদূর্ধ্ব বছরের বয়সীদের ৬৫ থেকে ৭৯ বছর বয়সীদের তুলনায় বেশি ভালো ঘুম হয়। আর যারা নিজেদের স্বাস্থ্য খারাপ মনে করে, তাদের ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৪৬ ভাগ কম থাকে। ভালো ঘুমের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টিও জড়িত। সমীক্ষার মুখ্য বিশ্লেষক এবং মূল লেখক ওরেগনের পেটিল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক ঘুমের মান এবং স্থায়িত্বের সঙ্গে বয়স ও স্বাস্থ্যকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি নিয়ামক বলে গণ্য করেন। ২০০৫ সাল থেকে চায়নিজ লন্জিভিটি সার্ভে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওই সমীক্ষা চালানো হয়। ৬৫ এবং তদূর্ধ্ব বয়সী ১৫ হাজার ৬৩৮ জনের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, ৩ হাজার ৯২৭ জনই ছিল ৯০ থেকে ৯৯ বছর বয়সী। আর ২ হাজার ৭৯৪ জন ছিল ১০০ কিংবা এর চেয়েও বেশি বয়সী। তারা সবাই দৈনিক সাড়ে ৭ ঘণ্টা কিংবা তার চেয়ে বেশি ঘুমায়। তাই প্রশান্তির ঘুমকেই দীর্ঘায়ু লাভের উপায় বলেছেন গবেষকরা। তবে এই ভেবে আবার প্রয়োজনীয়তার তুলনায় অতিরিক্ত ঘুমানো যাবে না। এতে উল্টো আপনার আয়ু কমতে পারে।
"