প্রফেসর ডা. এম আর খান

  ১৪ মে, ২০২০

নবজাতকের প্রয়োজন শালদুধ

শালদুধ শিশুর জন্য অত্যন্ত দরকারি। এ দুধের রঙ হলুদ বা হলুদাভ এবং অত্যন্ত ঘন। তাই অনেকে এ দুধকে স্তনদুষ্ট দুধ বলে মনে করেন। শালদুধ পরিমাণে কম হলেও নবজাতকের জন্য তা যথেষ্ট। জন্মের পর শিশুর যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই শালদুধে আছে। এ দুধে অতিরিক্ত পরিমাণে রোগ প্রতিরোধক ইমুনেগ্লোলিন থাকে। এতে শর্করার পরিমাণ কম থাকে; কিন্তু আমিষের পরিমাণ পরিপক্ব দুধের চেয়ে বেশি। এসব উপাদান শিশুকে বিভিন্ন রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করে। সুতরাং শালদুধ হচ্ছে শিশুর প্রথম টিকা। এ দুধ কিছুতেই ফেলে না দিয়ে অবশ্যই নবজাকতকে খাওয়াতে হবে।

ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধেই শিশুর কাক্সিক্ষত ও স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি হয়। এ সময় শিশুকে অন্য কোনো খাবার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে ছয় মাস পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে বাড়তি খাবার দিতে হয়। অনেক মা এটা না বুঝে শিশুকে একটানা এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত শুধু দুধ খাওয়াতে থাকেন। এতে শিশু সহজেই অপুষ্টির শিকার হয়।

কৌটার দুধ বা গরুর খাঁটি দুধের কোনোটাই মায়ের দুধের বিকল্প হতে পারে না। তবে কোনো কারণে শিশুকে মায়ের দুধ দেওয়া না গেলে কৌটার দুধ (ইনফ্যান্ট ফর্মুলা) দেওয়া যেতে পারে। খাদ্যমান বিচার করলে বলা যায়, কৌটার দুধ (ইনফ্যান্ট ফর্মুলা) গরুর খাঁটি দুধের চেয়ে ভালো, বেশি উপকারী। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধ দেওয়া যায়। তবে এক বছর বয়সের পর থেকে গরুর খাঁটি দুধ দেওয়া যেতে পারে।

জাতীয় অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close