ডা. মুনতাসীর মারুফ

  ১৯ মার্চ, ২০২০

ইন্টারনেটপ্রীতি রোগ

নির্দিষ্ট ও প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়াও কি আপনার প্রতিদিন ইন্টারনেটে বসা চাই-ই? বসার পর কি সময়জ্ঞান বলতে কিছু থাকে না আপনার? হয়তো ভাবলেন, এই তো ৫ মিনিটের জন্য বসছি, মেইলটা চেক করেই সাইন আউট করব; কিন্তু বসার পর কখন ঘণ্টা পেরিয়ে যায়, খবরই থাকে না।

অতিরিক্ত ইন্টারনেট-প্রীতির কারণে কি সমস্যা হচ্ছে আপনার পারিবারিক, শিক্ষা বা পেশাগত জীবনে? সম্পর্কের অবনতি ঘটছে কাছের মানুষদের সঙ্গে? সব প্রশ্নের উত্তরই যদি হ্যাঁবোধক হয়, তাহলে আপনাকে ইন্টারনেটে আসক্ত বলা যায়। আসক্তির প্রকৃতি যদি গুরুতর না হয়, তাহলে নিজে নিজেই এ থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। সেক্ষেত্রে আপনি যে আসক্ত, এ ব্যাপারটি আপনাকে অনুধাবন করতে হবে। এরপর দেখুন, এ আসক্তির কারণে আপনি জীবনে কী হারাচ্ছেন বা মিস করছেন। মিস করা বিষয়গুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন। অনেক সময় না লেখা পর্যন্ত বোঝা যায় না, আপনি কতটুকু এবং কী হারাচ্ছেন। আপনার ওয়েব-সার্ফিংয়ের সময় নির্দিষ্ট করুন। প্রতিদিনই না হয় বসুন, কিন্তু নির্দিষ্ট একটি সময়ে এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। অ্যালার্ম ব্যবহার করুন। অ্যালার্ম বেজে উঠলেই অফলাইন হয়ে যান। প্রতি রাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কম্পিউটার বন্ধ করে ঘুমাতে যান এবং অবশ্যই তা মাঝরাত পেরিয়ে যাওয়ার পর নয়। ভার্চুয়াল জগৎ থেকে বেরিয়ে আসুন; বন্ধু খুঁজুন বাস্তবে। পরিবার ও বাস্তবের বন্ধুদের সহায়তা এক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। বাস্তবে আপনার বন্ধুর সংখ্যা যত বাড়বে, তত ভার্চুয়াল জগতের বন্ধুত্বের প্রয়োজন পড়বে কম। তবে অনেকের ক্ষেত্রে শুধু নিজস্ব প্রচেষ্টায় এ আসক্তি থেকে মুক্তি লাভ কঠিন। তাদের জন্য বিশেষজ্ঞ সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতাল ঢাকা

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close