ডা. এস এম আবদুল আজিজ

  ০৪ মার্চ, ২০২০

সাইনোসাইটিসে হোমিওপ্যাথি

নাক, কান ও গলা এ তিনটি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যেকোনো একটি আক্রান্ত হলে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। নাকের পলিপাস এক বা উভয় নাকের ভেতর হতে পারে। প্রথমে তা দেখতে মটরশুঁটির মতো হয়। ধীরে ধীরে বড় হয়ে নাসিকার ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় ন্যাজাল পলিপাস থেকে রক্ত বের হতে দেখা যায়। নাকের পলিপাস দেখতে আঙুরের মতো। নাসারন্ধ্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি থেকে উদ্ভেদ হয়। এ রোগের লক্ষণে নাসারন্ধ্রের অস্বাভাবিক আকৃতি পরিলক্ষিত হয়। এটি নাসিকা প্রদাহ বৃদ্ধির কারণে হতে পারে। এটি মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের অধিক হতে দেখা যায়। অনেক সময় বংশানুক্রমিকও হতে পারে। নাসারন্ধ্রে প্রায় সময় নরম, নীল বর্ণ, মসৃণ শ্বেতময় ও পুঁজময় ক্ষত হতে দেখা যায়। নাকের ছিদ্র বন্ধ হলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়।

রক্তে সিরাম আইজিয়ের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঠান্ডা, সর্দি, হাঁচি-কাশি ও নাক দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে পারে। নাকের ভেতরের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিগুলোতে অ্যালার্জিক প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং ঝিল্লি থেকে ধীরে ধীরে এক ধরনের মাংসপিন্ডের আবির্ভাব হয়, যা দেখতে আঙুরের মতো। এ ধরনের সমস্যাকে নাকের পলিপাস বলে। বারবার হাঁচি, নাক দিয়ে টপটপ করে পানি ঝরে, নাক বন্ধ থাকে, নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অনেক সময় মাথাব্যথা হয়, নাক ও কানে চুলকায়, নাকে ব্যথা ও স্মৃতিশক্তি কমে যায় এবং মুখ হা করে নিঃশ্বাস নিতে হয়।

পলিপাস ও সাইনোসাইটিস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত লক্ষণ ও সমস্যা সংগ্রহ করে হোমিও চিকিৎসা নিলে অপারেশন ছাড়াই নাকের পলিপাস ও সাইনোসাইটিসের যন্ত্রণা থেকে বিনাকষ্টে অতি সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে।

সতর্কতা : সাইনোসাইটিস ও পলিপাসের রোগীকে সব সময় অ্যালার্জিজাতীয় খাবার, ঠান্ডা ও ধুলাবালু থেকে দূরে থাকতে হবে। যথাসময় পলিপাসের চিকিৎসা না নিলে পরবর্তী সময়ে সাইনাসে ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস ও অ্যাজমা দেখা দিতে পারে।

আল-আজিজ হেলথ সেন্টার

পুরানা পল্টন, ঢাকা

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close