ডা. মহসীন কবির
ওষুধ কেনার সময় করণীয়
আমরা ওষুধ কিনি সাধারণত প্রয়োজনে আবার অপ্রয়োজনেই অনেককেই ওষুধ কিনছেন। রোগ হলে ওষুধ খেতে হবে, সেটাই স্বাভাবিক। ওষুধ আমাদের জীবন রক্ষা করে। এটিও মনে রাখতে হবে, নকল ওষুধ কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবনে মৃত্যুও হতে পারে। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আবার গুরুতর কোনো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, হতে পারে আপনার অঙ্গহানি। তাই ওষুধ কিনতে অবশ্যই গ্রাহককে সতর্ক হতে হবে। নিম্নোক্ত সতর্কগুলো মেনে ওষুধ কিনুন ও নিরাপদ থাকুন-
১. চিকিৎসকের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রের লেখা ওষুধই কিনুন। ওষুধ বিক্রেতাদে পরামর্শমতো অন্য কোনো কোম্পানির ওষুধ কিনবেন না।
২. ওষুধ কেনার সময় অবশ্যই নিজ চোখে ওষুধের প্যাকেটে ব্যাচ নম্বর, তৈরির তারিখ, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং প্রস্তুতকারক কোম্পানির নাম লেখা আছে কি না ভালোভাবে দেখে নিন।
৩. সব সময় লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনুন। সাধারণ মনোহারি দোকান থেকে ওষুধ কিনবেন না।
৪. বিদেশি ওষুধ বা ভিটামিন কিনতে সতর্ক হন। ওষুধের প্যাকেটটি ভালোভাবে পড়ে নিন ও কোম্পানির নাম ভালোভাবে যাচাই করে নিন।
৫. ডিসকাউন্ট দেওয়া ওষুধের ব্যাপারে সতর্ক হন।
৬. ওষুধ কেনার আগে প্যাকেটটি ঠিকমতো লাগানো বা সিল করা কি না তা দেখে নিন।
৭. ওষুধ বিক্রেতার পরামর্শে ওষুধ কেনা থেকে বিরত থাকুন। কারণ যারা পড়তে, লিখতে পারেন না, তাদের বেশির ভাগ ওষুধ বিক্রেতারা ভুয়া কোম্পানির ওষুধ দিয়ে দিয়ে ভালো কোম্পানির ওষুধের মূল্য রাখে। ভুয়া কোম্পানির ওষুধগুলো শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।
তাই আজ থেকে ওষুধ কিনতে ও ওষুধ সেবনে সতর্র্ক হন। মনে রাখবেন, টাকা দিয়ে ওষুধ কেনার বদলে বিষ কেনা কারোরই কাম্য নয়।
লেখক : জনস্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক ও গবেষক
ইনচার্জ, ইনস্টিটিউট অব জেরিয়েট্রিক মেডিসিন
বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ
"