স্বাস্থ্য ডেস্ক

  ০৯ জুন, ২০১৯

গরমে হাঁচি-কাশি

চলছে দুর্বিষহ গরম। এ গরমে অনেকেরই হাঁচি ও কাশিজনিত নানা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। হাঁচি-কাশি হলে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এটি রোগের পূর্ব লক্ষণ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাঁচি-কাশি না কমাতে পারলে তা ধীরে ধীরে শ্বাসনালিতে প্রদাহসহ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ ঋতুতে হাঁচি-কাশি হলে খাওয়া-দাওয়ায় একটু পরিবর্তন আনতে হবে। আপনার খাদ্যতালিকায় শর্করা, আমিষ, স্নেহের পাশাপাশি ভিটামিন ও মিনারেল-সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। কারণ সুষম খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। হাঁচি-কাশি কমাতে ভিটামিন ‘সি’যুক্ত ফলমূল খান। এ ছাড়াও এ গরমে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। তুলসী পাতার রস, আদার রস, মধু বা আদা মেশানো চা হাঁচি-কাশি দূর করতে খুবই কার্যকর। হাঁচি-কাশির কারণে যদি খুব বেশি শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু ওষুধ সেবন করুন ও সুস্থ থাকুন। হাঁচি-কাশি একজন থেকে অন্যজনে ভাইরাসের মাধ্যমে খুব সহজেই সংক্রমিত হয়। তাই হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে ও শিশুদের সামনে হাঁচি-কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

হাঁচি-কাশিমুক্ত থাকতে কী করবেন

গরমে হালকা পোশাক পরুন।

ঘেমে গেলে তা যত দ্রুত সম্ভব মুছে ফেলুন ও একটু ঠান্ডা স্থানে বিশ্রাম নিন।

ধুলোবালি এডিয়ে চলুন।

ধুলোবালি ও ধোঁয়াযুক্ত রাস্তায় নাকে-মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন।

পশুপাখি থেকে দূরে থাকুন।

গোসলের পর ভালোভাবে চুল শুকিয়ে নিন।

গোসলের পর সরাসরি ফ্যান কিংবা এসির নিচে থাকা যাবে না।

বাসায় বিছানার চাদর, পর্দা পরিষ্কার ও ধুলোবালিমুক্ত রাখতে হবে।

ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।

আপনার সামনে অন্য কেউ অনবরত হাঁচি-কাশি দিলে আপনার নাক-মুখ রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখুন।

খুব বেশি ঘেমে গেলে ঘর্মাক্ত অবস্থায় গোসল করা থেকে বিরত থাকুন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close