ডা. মো. ইয়াকুব আলী

  ০৬ জানুয়ারি, ২০১৯

জরায়ুতে ক্যানসারের প্রধান কারণ

হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) : হিউম্যান পেপিলোমা বা এইচপি ভাইরাস জরায়ুমুখের ক্যান্সারের একটি অন্যতম কারণ, তবে এটি একমাত্র কারণ নয়। যৌন সংযোগে এর সংক্রমণ ঘটে। সংক্রমণের এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জরায়ুমুখের স্বাভাবিক কোষ পরিবর্তিত হতে থাকে এবং একসময় তা ক্যান্সারে রূপ নেয়।

কীভাবে বুঝবেন

অতিরিক্ত সাদা¯্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত ¯্রাব, অতিরিক্ত অথবা অনিয়মিত রক্ত¯্রাব, সহবাসের পর রক্তপাত, মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আবারো রক্তপাত, কোমর ও তলপেট ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গগুলো জরায়ুমুখ ক্যান্সারের লক্ষণ। যাদের অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে থাকে তাদের এ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আবার ঘন ঘন বাচ্চা নেয়ার কারণেও জরায়ুমুখে ক্যান্সার হতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

নিয়মিত পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে যেসব মহিলার বয়স ৩০-এর বেশি (বাল্যবিয়ে হলে ২৫-এর বেশি) তাদের প্রতি তিন বছর পরপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা জরায়ুমুখ পরীক্ষা করানো উচিত।

প্রতিরোধের উপায়

মেয়েদের বয়স ১০ বছর হলেই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা দেয়া যায়। এক্ষেত্রে মোট তিন ডোজ টিকা নিতে হয়। টিকা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত পরীক্ষা করালে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আক্রমণ হার কমিয়ে আনা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, ওষুধের চেয়ে আচরণগত প্রতিরোধই এ রোগে বেশি কার্যকরী। যেমন : বাল্যবিয়ে রোধ, অধিক সন্তান প্রসব, ধূমপান, পানের সঙ্গে জর্দা, সাদাপাতা ও গুলের ব্যবহারে এ ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়ে। আবার সুষম খাবার গ্রহণ, দৈনিক তিন-চারবার ফল, শাকসবজি, তরকারি খাওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন ও সামাজিক অনুশাসন মান্য করা এ রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তবে গর্ভাবস্থায় এ রোগের টিকা প্রদানের অনুমোদন নেই। অন্যদিকে ক্যান্সার হওয়ার পর এ টিকা আর কোনো কাজে আসে না।

লেখক :

সহকারী অধ্যাপক, মেডিকেল অনকোলজি

জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close