কবিরাজ মুশাহিদ দেওয়ান
রোগের পথ্য কালিজিরা
কালিজিরাকে রোগ প্রতিরোধের মহৌষুধ বলা হয়। তাই কালিজিরাকে খাবার না বলে রোগের পথ্য বলা যেতে পারে। এই ঋতুতে আবহাওয়া প্রচন্ড গরম থাকে। তাই এই মৌসুমে গরম ও ঠান্ডাজনিত কারণে অনেকেই ঠান্ডা- কাশি-জ্বরে ভুগছেন। জ্বর, কফ, শরীর ব্যথা দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান।
কালিজিরা পেটকে রাখে রোগজীবাণুমুক্ত আর তাই এটি পেটের দূষিত গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়। যারা মোটা হতে চান, তাদের জন্য কালিজিরা যথাযোগ্য পথ্য। আবার যাদের শরীরে পানি জমে হাত-পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাদের পানি জমতে বাধা দেয় এই কালিজিরা। এছাড়াও বাচ্চা প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে বা কালিজিরা ভর্তা খেলে মায়েদের দুধের পরিমাণ বেড়ে যায় আর এতে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে। কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইμোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগজীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ বা ছোঁয়াচে রোগ হয় না। কালিজিরা মানুষের মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ
হারে। কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে,
জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে। এছাড়াও কালিজিরা কৃমি দূর করে, তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে ও আমাদের কাজ করার
শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। এতসব গুণাবলি আছে বলেই আবার সারাদিন খুব বেশি কালিজির খাওয়া যাবে না। এতে আবার পেট খারাপ
হতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পরিমাণমতো কালিজিরা থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
লেখক : আয়ুর্বেদিক ও ভেষজ
বিশেষজ্ঞ
"