কবিরাজ মুশাহিদ দেওয়ান

  ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

গ্রীষ্মকালীন সবজি ঢেঁড়স

বাজারে এখন গ্রীষ্মকালীন সবজি ঢেঁড়স পাওয়া যাচ্ছে। এই ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ, তাই আপনার খাদ্য তালিকায় ঢেঁড়স আপনার দেহকে দিতে পারে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলের জোগান। আসুন এই ঢেঁড়সের আদ্যেপান্ত জেনে নেই। ঢেঁড়স সেদ্ধ ও ভাজি দুই ভাবেই খাওয়া যায়। ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও ভিটামিন এ, বি, সি। ঢেঁসড়ের পড বা সাদা বিচিতে রয়েছে ক্যারোটিন, ফলিক এসিড, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, অক্সালিক এসিড এবং অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড। এই সবজিটিতে রিবোফ্লাভিনের পরিমাণ বেগুন, মুলা, টমেটো ও শিমের চেয়েও বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে ৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৫ মিলিগ্রাম লোহা, ৫২ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন, দশমিক শূন্য ৭ মিলিগ্রাম থায়ামিন, দশমিক ১ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, দশমিক ৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন ও ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বিদ্যমান। ঢেঁড়সের পাকা শুকনা বীজে ভক্ষণযোগ্য তেল রয়েছে ১৬ থেকে ২২ ভাগ। ঔষধি গুণাবলিও রয়েছে ঢেঁড়সের। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে দু-তিনটি ঢেঁড়স ৪৫০ গ্রাম পানিতে এমনভাবে সেদ্ধ করতে হবে, যাতে সেদ্ধ পানির পরিমাণ দাঁড়ায় এক কাপ। তারপর পানি ছেঁকে ওই পানি পান করলে প্রস্রাব ও পায়খানা দুই-ই পরিষ্কার হবে। ঢেঁড়স প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণ দূর করতে সহায়তা করে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেও যখন প্রস্রাব কম হয়, তখন তিন-চারটি কাঁচা ঢেঁড়স আধা লিটার পানিতে সেদ্ধ করে ওই পানি ২৫০ মিলি লিটারে নিয়ে আসতে হবে। সেদ্ধ পানি ছেঁকে পিচ্ছিল তরল পদার্থগুলো পান করলে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়বে। কয়েক দিন এ রকম করে খেলে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণের সমস্যা দূর হয়। দীর্ঘমেয়াদি কাশি দমনের জন্য বীজ ফেলা কয়েকটি কাঁচা ঢেঁড়স রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে পাঁচ-ছয় গ্রাম নিয়ে চিনির কড়া রসে মিলিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। ডায়াবেটিকসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতেও ঢেঁড়স ভূমিকা রাখে। ঢেঁড়স হার্টের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

লেখক : আয়ুর্বেদিক ও ভেষজ বিশেষজ্ঞ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close