ডা. এম ইয়াছিন আলী
বসন্তে হাঁচি-কাশিমুক্ত থাকুন
চলছে বসন্তকাল। বসন্তের বাতাসে মনে দোলা লাগলেও এ বাতাসটি কিন্তু ততটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। বিশেষ করে আমরা যারা শহরকেন্দ্রিক বাস করি, তাদের এ ঋতুতে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ এ সময়ে বাতাসে প্রচুর ধুলাবালু ও ফুলের রেণু ঘুরপাক খায়। আর এ কারণেই ঋতু পরিবর্তনের এ সময়টাতে অনেকেই শ্বাসযন্ত্রে প্রদাহসহ, সর্দি-কাশি ও জ্বরে ভুগে থাকেন। তবে এ সময়টাতে আমরা সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় পড়ি তা হলো, হাঁচি বা কাশির সমস্যা। কিছু সাবধানতা মেনে চললেই আমরা এ সময়ে হাঁচি-কাশিমুক্ত থাকতে পরি।
প্রথমে হাঁচি-কাশি কমাতে ভিটামিন-সিযুক্ত লেবু, জাম্বুরা, আম, কামরাঙা, আমলকী, জাম ইত্যাদি বেশি করে খান। তুলসী পাতার রস, আদার রস, মধু বা আদা মেশানো চা হাঁচি-কাশি দূর করতে খুবই কার্যকর। হাঁচি-কাশির কারণে যদি খুব বেশি শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু ওষুধ সেবন করুন ও সুস্থ থাকুন। হাঁচি-কাশি একজন থেকে অন্যজনে ভাইরাসের মাধ্যমে খুব সহজেই সংক্রমিত হয়। তাই হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে ও শিশুদের সামনে হাঁচি-কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
হাঁচি-কাশিমুক্ত থাকতে কিছু করণীয়
১. ধুলাবালু এড়িয়ে চলুন।
২. ধুলাবালু ও ধোঁয়াযুক্ত রাস্তায় নাকে-মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. পশুপাখি থেকে দূরে থাকুন।
৪. গোসলের পর বা বৃষ্টিতে ভেজার পর ভালোভাবে চুল শুকিয়ে নিন।
৫. গোসলের পর সরাসরি ফ্যান কিংবা এসির নিচে থাকা যাবে না।
৬. বাসায় বিছানার চাদর, পর্দা পরিষ্কার ও ধুলাবালুমুক্ত রাখতে হবে।
৭. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
৮. আপনার সামনে অন্য কেউ অনবরত হাঁচি-কাশি দিলে আপনার নাক-মুখ রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখুন।
৯. খুব বেশি ঘেমে গেলে ঘর্মাক্ত অবস্থায় গোসল করা থেকে বিরত থাকুন।
লেখক : চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল
ধানমন্ডি, ঢাকা
"