বাসস

  ২২ নভেম্বর, ২০১৭

প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ ভাতার ঘোষণা

বাংলাদেশ কখনো পিছিয়ে যেতে পারে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কখনো পিছিয়ে যেতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে উন্নীত করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্রবাহিনী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকার এবং খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্য বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের আগামী জানুয়ারি থেকে বিশেষ ভাতা প্রদানের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সশস্ত্রবাহিনীকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলার জন্য আমাদের সরকার কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে দেশে ও বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির সব যুদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করার প্রয়াস অব্যাহত আছে। তিন বাহিনীকে আধুনিক করতে যা যা দরকার সব করবে সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আমার ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল দুজনেই মুক্তিযোদ্ধা ছিল। শেখ কামাল ক্যাপ্টেন ছিল। শেখ জামাল মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ট্রেনিং নিয়ে সশস্ত্রবাহিনীতে যোগদান করে।’

সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সশস্ত্রবাহিনীর নির্বাচিত সদস্যদের পদক প্রদান করেন তিনি।

এর মধ্যে সেনাবাহিনীর ১০ জন, নৌবাহিনীর একজন এবং বিমানবাহিনীর একজন সদস্যকে ২০১৬-১৭ সালের শান্তিকালীন পদক এবং সেনাবাহিনীর ১০ জন, নৌবাহিনীর দুজন এবং বিমানবাহিনীর দুজন সদস্যকে ২০১৬-১৭ সালের অসামান্য সেবা পদকে ভূষিত করা হয়।

এর আগে সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে (শিখা চিরন্তন) পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে সশস্ত্রবাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। সেই সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে সেনাবাহিনী-প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী-প্রধান অ্যাডমিরাল এম নিজামউদ্দিন আহমদ, বিমানবাহিনী-প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এবং সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান তাকে স্বাগত জানান।

পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্রবাহিনী বিভাগে যান। সেখানে তিন বাহিনীর প্রধানরা তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী এএফডিতে পৌঁছলে এএফডির ডাইরেক্টরস জেনারেল এবং পিএসও তাকে অভ্যর্থনা জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী গঠিত হয়।

এর পর দেশপ্রেমিক জনতা ও মুক্তিবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সশস্ত্রবাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঐতিহাসিক দিবসটি প্রতি বছর সশস্ত্রবাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও বিমানবাহিনীর ঘাঁটির মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্রবাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সশস্ত্রবাহিনী দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist