আদালত প্রতিবেদক
দুর্নীতির দুই মামলা
তিন শর্তে জামিন পেলেন খালেদা জিয়া
জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিন শর্তে জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শর্তগুলো হলো-দুই লাখ টাকার বন্ড, দুইজনের জিম্মা এবং ভবিষ্যতে বিদেশ গেলে আগে থেকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়া জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এক লাখ টাকার মুচলেকায় তা মঞ্জুর করেন।
খালেদার পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আবদুর রেজাক খান, এ জে মোহাম্মদ আলী ও সানাউল্লাহ মিয়া। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনে তার আইনজীবীরা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে বুধবার দেশে ফিরে বৃহস্পতিবারই আত্মসমর্পণের জন্য আদালতে এসেছেন।
অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে দুদকের আইনজীবী কাজল বলেন, খালেদা জিয়া জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করে বিদেশে গিয়েছিলেন। তাকে আবার জামিন দেওয়া ঠিক হবে না। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করে আদেশে বলেছেন, ভবিষ্যতে মামলা চলাকালে খালেদা জিয়া আবারো বিদেশে যেতে চাইলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে হাজির না থাকায় গত ১২ অক্টোবর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আর স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানি করার অভিযোগে আরেক মামলায় সমন জারির পরও আদালতে না আসায় ওইদিনই বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার মহানগর হাকিম নূর নবী।
তার আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুই বছর আগে বাসে পেট্রলবোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় গত ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ‘পলাতক’ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
"