নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

এক মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি

রাজনীতিতে সহনশীল আচরণ চাই

রাজনীতিতে সহনশীল আচরণ এবং গণতন্ত্রচর্চার অবারিত সুযোগ সৃষ্টির জন্য পরস্পরকে আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। একই মঞ্চে দুই দলের শীর্ষ নেতারা সব দলের অংশগ্রহণে আগামীতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত সেমিনারে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।

‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে যুব নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণবৃদ্ধি’ শীর্ষক এ সেমিনারে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য এইচ টি ইমাম, সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আবদুুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী ও ওয়াসিকা আয়শা খান। অন্যদিকে, বিএনপি নেতাদের মধ্যে সেমিনারে বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান ও সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এ ছাড়া ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের কেটিয়া ক্রোক এবং ইউএসএইড-এর মিশন ডিরেক্টর জেনিনা জারুজেস্কি অনুষ্ঠান বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, রাজনৈতিক সহনশীলতা ও গণতন্ত্র চর্চার ভার শুধু সরকারি দলের ওপর বর্তায় না। সব রাজনৈতিক দলেরই দায়িত্ব এটি চর্চা করা। অতীতে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয়েছে, নির্বাচনগুলো কেমন ছিল, সে বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক কিছু বলতে হবে-ওদিকে যেতে চাই না। আমরা সহনশীলতার মধ্যেই থাকতে চাই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাজনীতিতে সহনশীলতা ও গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। নইলে আমাদের সব অর্জন বিফলে যাবে। রাজনীতিবিদদের হাতেই রাজনীতি থাকতে হবে। পেশিশক্তি আর অর্থশক্তির হাত থেকে রাজনীতিকে মুক্ত করতে হবে।

নজরুল ইসলাম খানের বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আবদুুর রাজ্জাক বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সমূলে ধ্বংস করার জন্য যে উদ্যোগ অতীতে আমরা দেখেছি, সেখানে রাজনৈতিক সহনশীলতা কতটুকু ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশে সরকার ছিল, আইন ছিল, প্রশাসন ছিল তার পরও একটা রাজনৈতিক দলের প্রধানসহ সব নেতাকে এক সঙ্গে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। ২৪ জন মানুষ সেখানে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। এরপরও আমরা সহনশীল রাজনীতি চর্চার মধ্যেই আছি।

আবদুুর রাজ্জাকের বক্তব্যের পর বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা প্রধানমন্ত্রীর কাজ নয়। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ। শুধু এ গ্যারান্টি আমাদেরকে দেন, আপনারা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেবেন কি না। আমরা জানি এটা আপনারা পারবেন না। এ জন্যই প্রয়োজন নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist