নিজস্ব প্রতিবেদক
অনাস্থা দূর করতে হবে
কলাম লেখক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কাজী সিরাজ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচন করার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের এক ধরনের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। বিদায়ী কাজী রকিবউদ্দীন কমিশনের স্থলাভিষিক্ত খান মো. নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে জন্ম নেওয়া অনাস্থা দূর করতে হবে।
গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে গতকাল বুধবার সিনিয়র সাংবাদিক কাজী সিরাজ এসব কথা বলেন। তার মতে, সংসদ এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এটা ধরেই নেওয়া যায়। এখন পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সরকারের অনুগত হয়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্বাচনে যে ভূমিকা ও অবস্থান রয়েছে ওই অবস্থানের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হলে সংসদ নির্বাচনে অবশ্যই সেনাবাহিনীর দরকার হবে। এ ব্যাপারে কমিশনকে কঠোরভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে- এটাই সংলাপে আমার পরামর্শ।
এই জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার আগামী নির্বাচনকে উপলক্ষ করে ইতোমধ্যে দান-অনুদান শুরু করেছে। এগুলোর প্রতি কমিশনের এখন থেকেই নজর দিতে হবে। কারণ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হলে এগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভোট দিলে নির্যাতনের শিকার হন এবং ভোট যদি তারা না দেন তাহলেও ক্ষতির শিকার হোন। তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তারমতে, সিইসিসহ পাঁচজন কমিশনারের মর্যাদা সমান। তাই কেউ কাউকে বড় কিংবা ছোট না ভেবে সমন্বয় করে কাজ করতে কমিশনকে পরামর্শ দেন তিনি।
"