প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১২ আগস্ট, ২০১৭

বাড়ছে নদ-নদীর পানি ও ভাঙন কয়েক জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ৮০টি স্থানে পানি বৃদ্ধি এবং ১০টি স্থানে হ্রাস পেয়েছে। তিনটি স্থানে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার এ কথা জানানো হয়েছে।

ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা এবং সুরমা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত গঙ্গা-পদ্মা ও সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

সুনামগঞ্জ : বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়ে গেছে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। সুনামগঞ্জে গত তিন দিনের টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পৌর শহরের ষোলোঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি গতকাল দুপুরে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ অবস্থায় বিকেলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। জেলার বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ঢলের কারণে সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া সুলতানা উপজেলার জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি আরো বাড়ছে। এছাড়া ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সদর, জামালগঞ্জ, শাল্লা ও দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বর্ষণ ও ঢল অব্যাহত থাকায় পানি বাড়ছে।

লালমনিরহাট : গত ৪ দিনের হালকা ও ভারি বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার তিস্তাপাড়ের বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এর ফলে ওইসব এলাকার মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা নদীর ওপর থাকা তিস্তা ব্যারাজের উজানে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানিপ্রবাহ পরিমাপ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী (পানি পরিমাপক) প্রকৌশলী আমিনুর রশীদ। পানি আরো বাড়তে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মহম্মদপুর (মাগুরা) : মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় হঠাৎ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পানিতে মধুমতি নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীভাঙনের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ফলে মহম্মদপুর উপজেলার মানচিত্র থেকে ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে কাশীপুর, রায়পুর, রুইজানি ও ভোলানাথপুর গ্রাম। গত এক সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। ভাঙনের মুখে রয়েছে শতাধিক পরিবার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ, কাশীপুর গোরস্তান, কাশীপুর মসজিদ, ভোলানাথপুরের দুইটি মন্দির এবং অসংখ্য দোকানপাটসহ হাজার হাজার একর ফসলি জমি। বিগত কয়েকদিন ধরে মধুমতি নদীর ভাঙনে নতুন নতুন বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে ভাঙন ভয়াল আকার ধারণ করায় নদীতীরবর্তী বসবাসকারী মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক।

আমতলী (বরগুনা) : গত বুধবার থেকে অনবরত বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাত-দিন একটানা বৃষ্টির ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক এলাকার রোপা আমনক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় নদীতে ১ মিটার পানি বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist