গাজীপুর প্রতিনিধি
কেন্দ্রীয় কারাগারে নামল প্রবাসীর হেলিকপ্টার
বন্ধুর বিয়ে বলে কথা। তাই ঢাকা থেকে বিল্লাল হোসেন নামো এক ব্যক্তি হেলিকপ্টারে গিয়েছিলেন গাজীপুরের কোনাবাড়িতে। সঙ্গে ছিল দুই সন্তানসহ মালয়েশিয়ান স্ত্রী। নিজেও থাকেন সেখানে। সম্প্রতি ঢাকায় এসেছেন তিনি। কিন্তু পাইলটের ভুলে হেলিকপ্টারটি ল্যান্ড করে গাজীপুরের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের সীমানার ভেতর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাইলট যাত্রীদের নামিয়ে হেলিকপ্টারটি নিয়ে উড়ে চলে যায়। পরে তারা বুঝতে পারেন এটি বিয়ে বাড়ি নয়, পাইলটের ভুলে চলে এসেছেন কারাগারে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায়। পরে কারা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন এটি পাইলটের ভুলের ফল। যাত্রীদের দুপুর দেড়টার দিকে ছেড়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, কুমিল্লার হোমনা এলাকার বিল্লাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে থাকেন মালয়েশিয়ায়। সেখানে তিনি মালয়েশিয়ান এক নারীকে বিয়ে করেছেন। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সম্প্রতি দেশে এসেছেন। বিল্লাল হোসেন গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার বন্ধু রউফ মিয়ার মেয়ের বিয়েতে যোগ দিতে ঢাকা থেকে মেঘনা নামের একটি বেসরকারি কোম্পানির হেলিকপ্টারে চড়েন। হেলিকপ্টারটি কোনাবাড়ির কুদ্দুসনগর স্কুলের মাঠে অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু পাইলট ভুল করে কারা কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে স্কুলের মাঠে কপ্টারটি অবতরণ করেন। পরে দায়িত্বরত কারারক্ষীরা বিল্লাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের কর্মকর্তাদের কাছে নিয়ে যান। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, কারা কমপ্লেক্সের আরপি গেটের কাছে মাঠে একটি ভাড়া করা হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এতে আরোহী ছিলেন এক বাংলাদেশি নাগরিক, তার মালয়েশীয় স্ত্রী ও তাদের দুই সন্তান। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, পাইলট ভুল করে কারাগারের আরপি গেটের কাছে মাঠে অবতরণ করেছেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বণিকও জানান, বিল্লাল হোসেন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে গাজীপুরের কোনাবাড়ির একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। তাদের অবতরণের কথা ছিল পাশের কোনাবাড়ি কুদ্দুসনগর স্কুলের মাঠে। কিন্তু পাইলট ভুল করে কারা কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে স্কুলের মাঠে কপ্টারটি অবতরণ করেন। কপ্টারের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ঘটনাটি হেলিকপ্টারের পাইলটের ভুলে হয়েছে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে আত্মীয়রা এসে তাদের নিয়ে যান।
জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ির ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মো. মোবারক হোসেন জানান, কোনাবাড়ির কুদ্দুসনগরে হেলিকপ্টারটির অবতরণের অনুমতি ছিল।
"