আদালত প্রতিবেদক

  ১০ আগস্ট, ২০১৭

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নয় বছর আগে দেওয়া রুলের শুনানি করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৮ সালের একটি রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দেন। ২০০১-০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা খালেদা জিয়া এ মামলায় নিম্ন আদালত থেকে জামিনেই রয়েছেন। রুলের শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মো. আলী ও জাকির হোসেন ভূইয়া। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।

রায়ের পর খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০০৮ সালে যে রুল হয়েছিল, তার শুনানি শেষে আদালত তা অ্যাবসলিউট করেছে। দুদক আগে পক্ষভুক্ত ছিল না, এবার পক্ষভুক্ত হয়ে শুনানিতে অংশ নিয়েছে। খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হলেও তিনি যদি এর অপব্যবহার করেন, তাহলে বিচারিক আদালত জামিন বাতিল করতে পারবেন।’

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওই সময়ে এ মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারও দেখানো হয়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২০০৮ সালের ২৬ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসনকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না-তার কারণ জানাতে চাওয়া হয় সেই রুলে।

সরকার ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলেও হাইকোর্টের দেওয়া জামিন সে সময় বহাল থাকে। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া মুক্তি পান এবং পরে নিম্ন আদালত থেকেও এ মামলায় তাকে জামিন দেওয়া হয়।

তদন্ত শেষে দুদক ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তার পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

বর্তমানে মামলাটি ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যায়ে রয়েছে।

বিচার কার্যক্রম চলার সময়ে লন্ডনে অবস্থান করায় এ মামলায় খালেদার জামিন বাতিলের আবেদন করেছে দুদক, যা ওই আদালতে আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

অন্যদিকে, ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে খালেদা জিয়া এ মামলায় চতুর্থবারের মতো বিচারক বদলের আবেদন করেছেন, যা হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist