নিজস্ব প্রতিবেদক
‘সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডের দরকার নেই : মুহিত
‘ঢাকায় ৫০০ পত্রিকা, অল অ্যাবাউট রাবিশ’
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডের দাবি ‘আননেসেসারি, টোটালি রাবিশ, বোগাস’। সাংবাদিকরা সরকারি কর্মচারীদের চেয়ে অধিক বেতন পান। এই কারণে তাদের এই ওয়েজ বোর্ডের দাবি অযৌক্তিক। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের করিডরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডের প্রয়োজন নেই, তাদের বেতন নির্ধারণ বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। বৈঠকে বুঝেছি সরকারি চাকরিজীবীদের তুলনায় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডের বেতন বেশি। সুতরাং, ওয়েজ বোর্ড রাখাটা আননেসেসারি। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ৫০০ পত্রিকা রয়েছে, অল অ্যাবাউট রাবিশ। আমরা সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০টি পত্রিকার সুযোগ-সুবিধা বা অন্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’
এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন ‘নোয়াব’ নেতাদের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। অন্যদিকে, নোয়াব নেতারা সম্মেলন কক্ষের অন্য দরজা দিয়ে চলে যান। তারা সাংবাদিকবদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। সম্মেলন কক্ষে কোনো সাংবাদিককেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এদিকে, ওয়েজ বোর্ড নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের একপর্যায়ে সাংবাদিকরা হৈ চৈ করে বলেন, ‘আপনার কাছে যে তথ্য আছে, তা সঠিক নয়।’ এ পর্যায়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কেন, আমাকে তো বলা হলো- একজন রিপোর্টারের প্রারম্ভিক বেতনই ২৫ হাজার টাকার বেশি। রিপোর্টিংয়ে যখনই কেউ ঢুকেন, ২৫ হাজার টাকার বেশি বেতন পান।’ এ সময় সাংবাদিকরা বলেন, আমরা আপনার সঙ্গে এই বিষয়ে খোলামেলা কথা বলতে চাই।
তখন অর্থমন্ত্রী বলেন, হু ইজ ইউর লিডার?
সাংবাদিকরা জানান, তাদের প্রেস ক্লাব আছে, সাংবাদিক ইউনিয়ন আছে, রিপোর্টার্স ইউনিটি আছে। এসব সংগঠনের নেতারা নবম ওয়েজ বোর্ডের দাবি জানিয়ে আসছেন।
এ পর্যায়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘ওয়েজ বোর্ডের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আরো মতামত নেওয়া হবে।’
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, নোয়াবের সভাপতি ও দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সহ-সভাপতি ও দৈনিক সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ প্রমুখ।
"