আদালত প্রতিবেদক
ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে বিশ্বজিৎ হত্যা
হাইকোর্টের রায় ৬ আগস্ট
পুরান ঢাকায় দরজি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর আগামী ৬ আগস্ট রায় দেবেন হাইকোর্ট। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর সকালে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদ- ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুজন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন পলাতক রয়েছেন। বাকি আটজন কারাগারে আছেন। আসামিদের সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন। মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন রফিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, রাশেদুজ্জামান, ইমদাদুল হক, কাইয়ুম মিয়া, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার (পলাতক) ও নূরে আলম (পলাতক)। যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন এইচ এম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, খন্দকার ইউনুস আলী, মনিরুল হক, তারিক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম (২), কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন। তাদের মধ্যে কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা ছাড়া বাকিরা পলাতক। বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরে শুনানি শুরু হয়।
"