নিজস্ব প্রতিবেদক
বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বৃহস্পতিবারের মধ্যেই চূড়ান্ত : আইনমন্ত্রী
উচ্চ আদালতের বিচারক সংকট সমাধানের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট বৃহস্পতিবারের (২১ জুলাই) মধ্যে চূড়ান্ত হবে।’ গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান আইনমন্ত্রী। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
চলতি বছরের ২৯ মে বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে সরকারকে ২ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছিল আপিল বিভাগ। তার আগেও আপিল শুনানিতে গেজেট প্রকাশের বিষয়ে দফায় দফায় সময় নেয় সরকারপক্ষ। গত মাসে শেষবারের মতো আবারও সময় পায় রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তলবও করেছিল আপিল বিভাগ। এর আগে ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এজন্য বারবার আদেশ দিতে হয়েছে আপিল বিভাগকে। এমনকি ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে বাদীপক্ষকে। এরপর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক ঘোষণা করে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।
"