নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদগাহে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নেওয়া যাবে না
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে যাওয়ার সময় এবার জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু না নিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। পুলিশের তল্লাশিকালে জায়নামাজ দেখতে চাওয়া হলে সবাইকে সহযোগিতা করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা প্রস্তুতি পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নি-িদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহে আসার সময় প্রত্যেককে তল্লাশির মধ্যে দিয়ে আসতে হবে।’
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সোম অথবা মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বাংলাদেশের মুসলমানরা। বরাবরের মতো এবারো ঈদের প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। তবে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় হবে ঈদের প্রধান জামাত। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য এবং রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন। জাতীয় ঈদগাহে ৮৪ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে। এর মধ্যে পাঁচ হাজার নারীরও ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
এবার ঈদের জামাত ঘিরে জাতীয় ঈদগাহে থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা। জাতীয় ঈদগাহে থাকবে তিনটি প্রবেশপথ। এর মধ্যে একটি নারীদের জন্য, একটি জনসাধারণের জন্য এবং অন্যটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য। ঈদগাহের এক কিলোমিটার দূরে থাকবে তল্লাশি চৌকি। বিভিন্ন স্থানে বসানো হবে ওয়াচ টাওয়ার এবং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ঈদগাহের চারপাশে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, সোয়াট, গোয়েন্দা এবং সাধারণ পোশাকের পুলিশের পাশাপাশি ডগ স্কোয়াড থাকবে নিরাপত্তার দায়িত্বে।
নিরাপত্তার এই কড়াকড়ি মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে কিনা জানতে চাওয়া হলে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যবস্থা।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কোনো ধরনের জঙ্গি হুমকি নেই।
আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, ঢাকা মহানগরে ছোট-বড় অন্তত ৫০০ ঈদের জামাত হবে। সবগুলো জামাতকে ঘিরেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মেয়র সাঈদ খোকন : শনিবার ঈদগাহ পরিদর্শন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনও বলেছেন, জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নাশকতার কোনো আশঙ্কা তারা দেখছেন না।
"