রাঙামাটি প্রতিনিধি
পাহাড়ধস
উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত, মৃত ১৫৬
টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসে বিপর্যয়ের তিন দিন পর পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫টি জেলায় ওই দুর্যোগে এ পর্যন্ত ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ ১১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত সোমবার রাত থেকে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি ঢল ও ভূমিধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষাপটে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাঞ্জারুল মান্নান গতকাল শুক্রবার বিকাল পৌনে ৬টায় এক সংবাদ সম্মেলনে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ঢাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থানা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানিয়েছে, পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে ১১০ জন, চট্টগ্রামে ২৩ জন, বান্দরবানে ৬ জন, কক্সবাজারে ২ জন এবং খাগড়াছড়িতে ১ জনের প্রাণহানির তথ্য তাদের হাতে পৌঁছেছে। এছাড়া চট্টগ্রামে ঢলে ভেসে গিয়ে গাছ ও দেয়ালচাপায় এবং বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে আরো ১৪ জনের।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাঞ্জারুল মান্নান বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। ভূমি ধসের বিষয়টি প্রাকৃতিক। বৈশ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং ভারি বর্ষণে এ ঘটনা ঘটেছে। এবারকার ভারি বর্ষণে রাঙামাটির সব পাহাড়ের চূড়া ভেঙে গেছে। এটা ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা। আমরা সচেতন থাকব।’
তিনি জানান, উদ্ধারকাজে জেলা প্রশাসনসহ সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় তরুণ-যুবা এবং বিভিন্ন সংগঠন সহায়তা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজও উপস্থিত ছিলেন।
"