নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ মে, ২০১৭

বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড

শনিবার উৎপাদন হয় ৯৪৭১ মেগাওয়াট

দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিংয়ের খবরের মধ্যেই গত শনিবার রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। বোর্ডের পরিচালক (জনসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, শনিবার রাত ১০টায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল নয় হাজার ৪৭১ মেগাওয়াট, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। গতকাল রোববার তিনি বলেন, ‘গত রাত ৯টার সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন নয় হাজার ৩৫৬ মেগাওয়াটে পৌঁছালে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়। এক ঘণ্টা পর তা-ও ছাপিয়ে যায়।’ এর আগে গত বছর ৩০ জুন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রথমবারের মতো নয় হাজার মেগাওয়াটের মাইলফলক স্পর্শ করে। সেদিন মোট নয় হাজার ৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকলেও এবার গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘাটতি পূরণে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বাড়তে থাকে।

এর মধ্যে মে মাসের প্রথম দিন ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত একটি সঞ্চালন লাইন মেরামতের সময় জাতীয় গ্রিডের আরেকটি সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় দেশের উত্তর ও দক্ষিণ জনপদের অন্তত ৩২ জেলার মানুষকে বেশ কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালীপুরে ভেঙে পড়া ওই বিদ্যুতের টাওয়ার মেরামত শেষ না হওয়ায় এবং কারিগরি ত্রুটির কারণে কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকায় মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের পর বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়। দেশজুড়ে দাবদাহের মধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনজীবন অসহনীয় হয়ে ওঠে। দেশের অধিকাংশ জেলায় দিনে বেশ কয়েকবার লোডশেডিং হলেও এই সংকটকে গত শুক্রবার ‘স্বাভাবিক’ বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে তার আগের দিন তিনি বলেন, শনিবারের মধ্যেই হয়তো ফল পাওয়া যাবে। এরপর শনিবারই উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হওয়ার খবর দিল বিদ্যুৎ বিভাগ। পিডিবির ওয়েবসাইটে শনিবারের পূর্বাভাসে সর্বোচ্চ চাহিদা ধরা হয়েছিল নয় হাজার ৮০০ মেগাওয়াট, যা সর্বোচ্চ উৎপাদন থেকে ৩২৯ মেগাওয়াট বেশি। এই ঘাটতি মেটাতে শনিবার কী পরিমাণ লোড শেয়ারিং করতে হয়েছে তা অবশ্য রোববার দুপুর পযন্ত পিডিবির ওয়েবসাইটে জানানো হয়নি।

কর্মকর্তারা বলছেন, গত আট বছরে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় তিনগুণ বাড়লেও বিদ্যুৎ সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর কাছে নতুন সংযোগ পৌঁছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বেড়ে চলেছে। ফলে গরমের সময় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যে লোড ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কম বিদ্যুৎ দিয়েই চাহিদা মেটানো হয়। বেশির ভাগ সময় এর জন্য ভুগতে হয় গ্রামের মানুষকে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ২৭টি থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৮টি। আর উৎপাদন ক্ষমতা চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ১৫ হাজার ৩৫১ মেগাওয়াট হয়েছে। আগে যেখানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল, এখন তা বেড়ে ৮০ শতাংশ হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist