প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
মেরকেলের সঙ্গে বৈঠক
রোহিঙ্গাদের সরাতে সহযোগিতা চাইলেন শেখ হাসিনা
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে আসা মিয়ানমারের নাগরিকদের কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ঠেঙ্গারচরে সরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের ফাঁকে শনিবার মিউনিখের বাইরিশার হফ হোটেলে দুই দেশের নেতাদের এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। ?পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ‘মেরকেলই এই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলরকে বলেন, তারা বাংলাদেশে আসার পর থেকে বাজে অবস্থার মধ্যে ছিল। কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার আশ্রয় নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এর প্রভাব ওই এলাকার পরিবেশ ও পর্যটনের উপরও পড়ছে। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ ও মানবিক বিভিন্ন কর্মকা- ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ কক্সবাজারে গাদাগাদি করে থাকা রোহিঙ্গাদের ‘মানবিক কারণেই’ ঠেঙ্গারচরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকও ছিলেন।
মার্কেলের সঙ্গে বৈঠকের পর জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন শেখ হাসিনার। এদিনই একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন তিনি।
বর্তমান বিশ্বে নিরাপত্তা আলোচনার সেরা ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কনফারেন্স’ হিসেবে বিবেচিত মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যোগ দিলেন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ সাড়ে চারশ প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী, পোল্যান্ড ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস- প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস এবং রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব ছাড়াও ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, গ্রিন পিস ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিরাও এই সম্মেলনে অংশ নেন।
১৯৬৩ সালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের যাত্রা শুরু হয়। স্নায়ুযুদ্ধের পটভূমিতে তৈরি হলেও পঁচা দশকের বেশি সময় ধরে এই সম্মেলনে বিশ্ব নিরাপত্তা ও বিভিন্ন পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে শনিবার রাতেই দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী। আজ রোববার রাতে ঢাকা পৌঁছানোর কথা তার।
"