প্রতীক ইজাজ

  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ঝুঁকিপূর্ণ

কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর হাতিয়ার দ্বীপ ঠেঙ্গারচরে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেখানে অস্থায়ীভাবে অবস্থান করবেন তারা। পরে সেখান থেকেই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। অবস্থানকালীন রোহিঙ্গাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করবে সরকার। অবশ্য ওই দ্বীপে নেওয়ার আগে আগামী তিন মাসের মধ্যে সরকার বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ‘ডাটাবেজ’ তৈরি করবে, যাতে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়ে আলোচনা করতে পারে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে।

সরকারের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতোমধ্যেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানান্তর নিয়ে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতভেদ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সরকারের এ পরিকল্পনা বাতিলের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে সুচিন্তিত বলে মনে করছে না রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু)। সরকারের সঙ্গে এক আলোচনায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) বিষয়টির ব্যাপারে আরো জানতে চেয়েছে। এমনকি জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সংসদ সদস্য মঈনউদ্দিন খান বাদল সরকারের এ সিদ্ধান্ত দেশের পররাষ্ট্রনীতির জন্য ‘বিপজ্জনক উদাহরণ’ সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন।

কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানা গেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এ দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের হাতিয়ার ঠেঙ্গারচরে অস্থায়ী পুনর্বাসন করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, কক্সবাজার দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র, এটাকে ধ্বংস হতে দেওয়া যেতে পারে না। পরিবেশগত ও স্থানীয় লোকজনের সমস্যার কথা বিবেচনা করতে হবে আমাদের। ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গাদের চিরতরে থাকতে দেওয়া হবে না; কারণ তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। রোহিঙ্গাদের এখনই স্থানান্তর করা হচ্ছে না। তাদের পাঠানোর আগে অবকাঠামো নির্মাণ ও জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে।

রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তরে সরকারের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দেশের শরণার্থী বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা। তারা এ সিদ্ধান্তে সরকারকে অনড় থাকার পরামর্শও দিয়েছেন। তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিরোধিতার সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে অবশ্যই সীমান্ত এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের সরাতে হবে। তবে তারা যেখানেই নেওয়া হোক, সেখানে বসবাস উপযোগী ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে মিয়ানমারের অবৈধ নাগরিকদের হাতিয়ার ঠেঙ্গারচরে অস্থায়ী ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় ঠেঙ্গারচরে কাঠামো তৈরির কাজ চলছে। তবে ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গা পাঠানোর কাজ শুরু করতে সময় লাগবে। কিন্তু নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তারা অস্থায়ী ভিত্তিতে সেখানে থাকবে এবং আমরা চাইব মিয়ানমার সরকার যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত নেবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে ও বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তরের এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ঠেঙ্গারচরে যাওয়ার ব্যাপারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। একপক্ষ চাইছে, মিয়ানমারে যেতে। সে ক্ষেত্রে তাদের স্থায়ী আবাসনের দরকার নেই। স্থায়ী আবাসন হলে তাদের পক্ষে আর নিজ দেশে ফেরত যাওয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু যে পক্ষ যেতে চাইছে না, তাদের মত হলো, ঠেঙ্গারচর বসবাসের উপযোগী নয়। এ জন্য দীর্ঘদিন ধরে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গা নেতারা বিভিন্নভাবে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ও আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। কেন রোহিঙ্গারা ঠেঙ্গারচর যেতে চাইছে নাÑনেপথ্যের কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেশ কিছু রোহিঙ্গা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। কেউ স্থায়ীভাবে ব্যবসা করছে, কেউ এ দেশে বিয়ে করে সংসার করছেন। এমনকি রোহিঙ্গাদের একটি অংশ মানবপাচারসহ ইয়াবা বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছে। তাই ঠেঙ্গারচরে নিয়ে গেলে সবচেয়ে বিপদে পড়বে তারা।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালে উখিয়া টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদ অতিক্রম করে মিয়ানমারের দুই লাখ ৪৮ হাজার ৫৩০ জন রোহিঙ্গা সপরিবারে উখিয়া, টেকনাফ ও রামু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়। এ সময় সরকার আশ্রয় কেন্দ্র খোলে এসব রোহিঙ্গাকে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে। পরে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সরকার সক্ষম হলেও উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ও টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে প্রায় ১৪ হাজার রোহিঙ্গা রয়ে যায়। সরকারি নিবন্ধিত এক লাখ রোহিঙ্গা উখিয়ার কুতুপালং সরকারি বনভূমির জায়গা দখল করে অবস্থান করছে। টেকনাফের লেদা এলাকায় বস্তি করে বাস করছে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।

স্থানীয়রা জানান, এসব রোহিঙ্গা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত। কয়েক বছর ধরে কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি এলাকা হয়ে উঠেছে মাদাকসেবীর ও মাদক পাচারের নিরাপদ আস্তানা। এখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবাসহ নানা রকমের মাদক। কুতুপালং বস্তি হয়ে মিয়ানমারের তৈরি ইয়াবার চালান ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা রোহিঙ্গা বস্তিতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ পাচারকারীদের গ্রেফতার করলেও থেমে নেই ইয়াবা ব্যবসা। এর আগে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে জালটাকা, টাকা তৈরির সরঞ্জাম ও স্থানীয় নাগরিক সনদপত্রসহ তিন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে।

স্থানান্তরের পক্ষে বিশেষজ্ঞরা : সার্বিক দিক বিবেচনায় কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে ও জনবসতিতে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অন্যত্র স্থানান্তরের পক্ষে মত দিয়েছেন দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, নিরাপত্তা ও শরণার্থী বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও বিশ্লেষকরা। এ ব্যাপারে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুুর রশিদ বলেন, এখানে রোহিঙ্গাদের বাস দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ সীমান্ত এলাকায় বাস করায় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি ও অপরাধীরা এদের অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানে ব্যবহার করছে। এদের মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এসব চোরাচালান চালাচ্ছে। মিয়ানমারে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী দল আছে, তারাও এসব রোহিঙ্গাকে ব্যবহার করছে। সুতরাং কিছুতেই সীমান্ত এলাকায় রাখা যাবে না। অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে। এরা এখানে থাকলে স্থানীয় শান্তি বিঘিœত হবে।

তবে অন্যত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই মানবিক দিকটাও বিবেচনায় আনতে হবেÑউল্লেখ করে এই বিশ্লেষক বলেন, ঠেঙ্গারচর নতুন জায়গা। সে জায়গার ব্যাপারে আস্থা না এলে ওদের মধ্যে শঙ্কা বাড়বে। আগে নতুন স্থানের ব্যাপারে তাদের আস্থায় আনতে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। দেখতে হবে ঠেঙ্গারচর বসবাসের উপযোগী কি না, সেখানে কর্মসংস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে হবে। এসব সুবিধা সম্বল করেই ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তর করতে হবে। কিন্তু সরকার থেকে এসব সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হচ্ছে না। ফলে ওদের মধ্যে শঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে। যদি ঠেঙ্গারচর নিরাপদ বসবাস উপযোগী হয়, তা হলে রোহিঙ্গা ও দেশের জন্য ভালো হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও শরণার্থী-মানবপাচার গবেষক জাকির হোসেন বলেন, ঠেঙ্গারচর বা অন্য যেখানেই নেওয়া হোক না কেনÑকক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের সরাতে হবে। কারণ দিনে দিনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেভাবে বাড়ছে, তাতে পর্যটন কেন্দ্র তো দূরেই থাক, সাধারণ বসবাসের উপযোগীও থাকবে না এই এলাকা। একসময় কক্সবাজারে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্য নিজেদের জোগান মিটিয়ে এক থেকে দেড় লাখ মেট্রিক টন রফতানি করা যেত। কিন্তু এখন এই পরিমাণ খাদ্য ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত মানুষ যেখানে থাকবে, সেখানে পরিবেশ বিপর্যয় হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য এখন কক্সবাজারে সে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এসব রোহিঙ্গার জন্য স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান নষ্ট হচ্ছে। পর্যটন এলাকা হিসেবে কক্সবাজার গুরুত্ব হারাচ্ছে। আর এ সবই হচ্ছে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য।

অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, সরকারি সুবিধা পেতে এবং পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থা না মানায় রোহিঙ্গা পরিবার প্রতি ৬-৭টি সন্তান। কোনো কোনো পরিবারের অনধিক ১৫টি পর্যন্ত সন্তান রয়েছে। ফলে জনসংখ্যা বাড়ছে।

রোহিঙ্গাদের জন্য কক্সবাজারে নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেÑবলেন গবেষক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে গ্রেফতার হওয়া জামাতুল আরাকানের এক সদস্য আবদুুল্লাহ কাফি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামে একটি রোহিঙ্গা রাষ্ট্র গঠন করতে চায় তারা। এ জন্য সংবিধানের খসড়াও তৈরি করেছে তারা। ফলে এদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আবদ্ধ করতে ও তদারকিতে রাখতে না পারলে ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তবে ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তরের আগে সেটি তাদের বসবাসের উপযোগী করে তুলতে হবেÑবলেন এই গবেষক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। রোহিঙ্গারা রাখাইনেই ফিরে যেতে চায়। সেটা তাদের জায়গা। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার কাজ হবে, মিয়ানমারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু তারা সেটা না করে বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরি করছে। এমনিতেই বাংলাদেশে চার থেকে পাঁচ লাখ চিহ্নিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কক্সবাজারের টেকনাফ উখিয়া এলাকায় রয়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাওয়ার। সেখানে মানবাধিকার সংস্থাগুলো চাপ তৈরি করছেÑযেন সরকার এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। কিন্তু আমি মনে করি, সরকারের এ সিদ্ধান্তে অনড় থাকার সময় এসেছে। রাখাইনে এখনো ১২ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। বাংলাদেশ কি সব রোহিঙ্গা এ দেশে পুনর্বাসন করবে? এটা কখনোই হতে পারে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist