প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৪ জুলাই, ২০২০

নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, লাখো মানুষ পানিবন্দি

দ্বিতীয় দফা বন্যা

দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ার ফলে দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় নদীর পানি বাড়ায় লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিস্তা ও বহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট অববাহিকায় রেড অ্যালার্ড জারি করা হয়েছে। এজন্য সতর্কতা স্বরূপ মাইকিং করে মানুষকে জানানো হচ্ছে। এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি। শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখনো পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন। ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা, ধরলাসহ অন্যান্য নদীর পানি বাড়ছেই। এতে লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে দোয়ানী ফ্লাট বাইপাস।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার, দুধকুমারের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলায় ৩২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রে ৪৫ সেন্টিমিটার, দুধকুমারে ৪৪ সেন্টিমিটার ও তিস্তায় ১৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

আমাদের লালমানিরহাট প্রতিনিধি জানান, তিস্তা নদীতে গত রোববার রাত থেকে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। গতকাল সোমবার সকালে ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ধরলা ও কুলাঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানি উন্নয় বোর্ডের লালমনিহাটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মহিবুল হক জানান, ক্রমেই ধেয়ে আসছে পানি। ফলে তিস্তা ধরলা ফুলে-ফেঁপে উঠে লোকালয়ে প্রবেশ করে নি¤œাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। হুমকির মুখে পড়েছে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কটিও। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার লক্ষাধিক মানুষ। ৪র্থ দফা বন্যার কারণে এসব এলাকায় দেখা দিয়ে চরম খাদ্য সংকট, বিশুদ্ধ পানির অভাবে ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগব্যাধি।

তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্ধুর্ণা, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে এসব এলাকার চরাল ও নদী তীরবর্তী নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে বহু কাঁচা-পাকা সড়কে পানি উঠে পড়ায়। এছাড়া তিস্তা-ধরলার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় চরাঞ্চলের সবজি, বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন

চাষিরা। অনেক মৎস্য খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ফসলের খেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানির শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। তিস্তার তীরবর্তী নি¤œাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু-বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, দ্বিতীয় দফার বন্যায় ১২০ মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ টাকা এখন পর্যন্ত বরাদ্দ করা হয়েছে। যা আজ থেকে বিতরণ শুরু হবে। এদিকে কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৯ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার সড়ক। পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে থাকা অনেক মানুষ তাদের আসবাবপত্র আর গৃহপালিত পশু নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে কোনো রকমে পাকা সড়ক উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়ে বাস করছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় ধরলার পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি বিপৎসীমার সামান্য ওপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারীতে ৪৫ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়াতে ৪৭ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছ।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি বেড়ে দ্বিতীয় দফায় নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ৩০টি গ্রাম। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। হুমকিতে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি গত ২৪ ঘণ্টায় সোমবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদীর পানি নতুন করে আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী নিচু অঞ্চল এবং বিভিন্ন চর এলাকায় নতুন করে পানি উঠতে শুরু করেছে এবং ওইসব এলাকার বসতবাড়ি, আবাদি জমি আবারও পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। ফলে ওইসব এলাকার মানুষ আবারও বন্যা আতঙ্কে নানা উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। এদিকে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট হুমকির মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ভাঙনের হুমকির কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকটি পয়েন্টে জরুরি প্রতিরক্ষামূলক কাজ শুরু করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, দুই সপ্তাহ হয়নি দুধকুমারের ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের চর ধাউরারকুটি গ্রামের কোরবান আলী। দুধকুমারের গ্রাসে সর্বস্বান্ত হয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোনো রকমে সংসারের জিনিসপত্রসহ নৌকায় পারি জমিয়েছিলেন পার্শ¦বর্তী নাগেশ^রী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নে। সেখানে দামাল গ্রামে অন্যের জমিতে নতুন করে সংসার পেতেছেন কোরবান আলী। ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র কিংবা দুধকুমার। কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদী অববাহিকার নিত্য চিত্র এখন এমনই। বর্ষায় প্রমত্তা রূপে ফেরা এ নদ-নদীগুলো এর অববাহিকার বাসিন্দাদের যেন অবকাশ দিতে নারাজ। কোথাও গ্রামের পর গ্রাম বসতবাড়িতে নিজের ধারণ করা পানি উগ্রে দিয়ে আবার কোথাও রুদ্র রূপে ভাঙনে সব গ্রাস করে গৃহহারা করছে এদের অববাহিকার বাসিন্দাদের। আর দিশাহারা মানুষগুলো কখনো এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে বসতগড়ে আবার কখনো সড়ক কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল সকালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারি বর্ষণ আর উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফল সপ্তাহের ব্যবধানে ৮ উপজেলার অর্ধশতাধিক ইউনিয়নে আবারও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় জেলার বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড যা আগামী ৭-১০ দিন জেলার চরাঞ্চলের লাখো মানুষকে পানিবন্দি রেখে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দুই দিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন বিভিন্ন এলাকার। শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখনো পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন। এছাড়া সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

ফুলগাজী : ফেনীর ফুলগাজীতে উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলের কারণে মুহুরি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৮ স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। গত রোববার সন্ধ্যায় ভাঙনের ফলে, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, সাহপাড়া, বৈরাগপুর, ঘনিয়ামোড়া, উত্তর দৌলতপুর, দ. দৌলতপুরসহ ১০টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে আছে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন এবং ৩০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান তারা ত্রাণ চায় না তারা চায় নদী শাসন, কহুয়া মুহুরী ও ছিলনিয়া নদী সংস্কার কাজ না করলে এই দুঃখ দুর্দশা কখনো লাগব হবে না, প্রতি বছর বর্ষা এলে তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়, তাই তারা সরকারের কাছে আবেদন জানান, খুব দ্রুত নদী শাসন করলে তারা কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে, ১০টি গ্রামের প্রায় ৬/৭ হাজার মানুষ পানি বন্দি আছে, বিদুতের খুঁটি ভেঙে প্রায় ১৫০ পরিবার এখন পর্যন্ত বিদুৎ বিছিন্ন হয়ে আছেন।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আবারো ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব অঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাট, ভুট্টা শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার সকালে যমুনা নদীতে পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি সমতল ১৩.৪১ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে বলে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান। অপর দিকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর ৩১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান।

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দ্বিতীয় দফায় কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলে শিমুলবাড়ী এলাকায় শেখ হাসিনা ধরলা সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বারোমাসিয়া ও নীলকমল নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি এবং ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নে ৭০০ পরিবার আসবাসপত্র আর গৃহপালিত পশু নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে কোনো রকমে উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। এদিকে টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তলিয়ে গেছে পাট, ভুট্টা, সবজি খেত, বীজতলা ও আউশ ধান। উপজেলার ভাঙ্গামোড়, বড়ভিটা, ফুলবাড়ী, শিমুলবাড়ী ও নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে সোমবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, পানিবন্দি ও বাঁধে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে জীবন-যাপন করছেন। এভাবে টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে ভারত থেকে পানি আসা অব্যাহত থাকলে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে। কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, শিমুলবাড়ী এলাকায় শেখ হাসিনা ধরলা সেতু পয়েন্টে ধরলার নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশা করছি আগামী দু-এক দিনের মধ্যে ধরলার পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close