করোনার কারণে পাবলিক পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরের ক্লাসে উন্নীত করা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে গত কিছুদিন ধরে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাময়িক পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের অটোপ্রমোশন করানো হতে পারে। এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা বন্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। অন্যদিকে পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের অটোপ্রমোশনের খবর ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘গুজব’ বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিতে পরীক্ষা ছাড়াই অটোপ্রমোশন দিয়ে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ভিত্তিহীন ও গুজব। এতে আরো বলা হয়, অটো প্রমোশন সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো গ্রহণ করেনি।

ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বন্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। পরীক্ষা অধিকতর যুগোপযোগী করে আয়োজনের লক্ষ্য রয়েছে। সেজন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় বোর্ড গঠনের বিষয়ে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংসদ সদস্য শফিউল ইসলামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। নীতিমালার আলোকে শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে এবং ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য করোনা পরিস্থিতিতেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। তবে করোনার কারণে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। ভর্তির বিষয়ে বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে। শিগগিরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এ কার্যক্রম শুরু হবে।

"