নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ জুলাই, ২০২০

গরুর নাম ড্যান্সার দাম ৪০ লাখ!

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বাজারে আসছে বড় বড় গরু। রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধ এলাকায় সাদেক অ্যাগ্রোর আনা এ রমক একটি গরু লক্ষ্য করা গেছে। চঞ্চল প্রকৃতির এই গরুর নাম রাখা হয়েছে ড্যান্সার। এক বছর বয়সে তাকে আনা হয়েছে, তিন বছর বয়সি ড্যান্সারের ওজন প্রায় এক হাজার কেজি। তাই মালিক দাম ধরেছেন ৪০ লাখ টাকা।সাদেক অ্যাগ্রোর খামারগুলো কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ড্যান্সারের মতো প্রায় বড় বড় প্রায় ৪৫টির মতো উন্নত জাতের গরু রয়েছে। কোনো গরুই ৩০ লাখের নিচে দাম নেই। অধিকাংশই গরু আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা। অল্প বয়সে এনে লালন পালন করে বড় করা হয়েছে গরুগুলোকে। কোনটি ১৬ মাস বয়সে আবার কোনটি ১৮ মাসে বয়সে আনা হয়েছে।

ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী উন্নত জাতের গরু আমদানি করে ক্রেতাদের নজর কেড়েছে সাদেক অ্যাগ্রো লিমিটেড। এই খামারে গত কয়েক বছর ধরে উন্নত জাতের গরু বিক্রি করার রেকর্ড রয়েছে। এবারো ব্রাহমা, ব্রাংগাস, এবারো আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া থেকে উন্নত জাতের গরু আনা হয়েছে। অবশ্য গরুগুলো দুই তিন বছর আগেই এই খামারে এসে বড় হয়েছে। কোনোটা দুই বছর কোনোটা তিন বছর আবার কোনোটা চার বছর ধরে এই খামারের আলো বাতাসেই বড় হয়েছে। আমেরিকার ব্রাহমা জাতের গরুর সাধারণত বড় আকৃতির হয়ে থাকে। সাদেক অ্যাগ্রোতে ব্রাহমা জাতের কয়েকটি গরু রয়েছে। তার মধ্যে খামারে লালন পালন করার সময় চকলেট লালচে কালারের একটি ব্রাহমা জাতের গরুর আদর করে নাম দেওয়া হয়েছে ‘রোজো’।

রোজোকে ১৮ মাস বয়সে আমেরিকা থেকে প্লেনযোগে বাংলাদেশে আনা হয়। এখন তার বয়স প্রায় চার বছর। এই সময় বাংলাদেশের আবহাওয়া খাবার দাবারের সঙ্গে বেশ মানিয়ে নিয়েছে। তার শরীরের গড়ন দেখলেই বুঝা যায়। কারণ তার ওজন ১ হাজার ৩০০ কেজির ওপরে। গরুটি বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ টাকায়।

রোজোর মতোই বিশাল দেহের অধিকারী ব্রাহমা জাতের আর একটি গুরু। এটির গায়ের রং মাথার দিকে কালো, পেটের দিকে অ্যাশ এবং পেছনের দিকটাও কালো। এটির ওজন ১ হাজার ২০০ কেজির ওপরে। খামারিরা গরুটির আদর করে নাম দিয়েছে টাইগার। এই গরুটি অবশ্য একটু রাগী। সুযোগ পেলে কাউকে ছাড়ে না। তবে যারা লালনপালন করে তাদের কথার বাইরে খুব বেশি একটা যায় না। টাইগারও বিক্রি হয়েছে সঠিক দাম বলতে পারেননি খামারের ম্যানেজার মো. শরিফুল ইসলাম। তবে ৩০ লাখের ওপরে এইটুকু জানেন তিনি।

সাদেক অ্যাগ্রোতে আরো রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ব্রাংগাস জাতের গরু। সেই গরুর মধ্যে একটি কুচকুচে কালো নাম তার গিলবাড। ওজন ১ হাজার ৫০ কেজি। লালচে রং এর আরো একটি গরু রয়েছে। তার নাম দিয়েছে বাদশা। বাদশা আবার একটু আলাদা। সে অন্যদের সঙ্গে খুব বেশি মেশে না। সব সময় একটু ভাব ধরে থাকে বলে তার নাম বাদশা।

গরুর পরিচর্যা সম্পর্কে শরিফুল ইসলাম বলেন, এদের খাবার-থাকা সবকিছু রাজকীয়। প্রতিদিন সময়মতো তিন বেলা খাবার দিতে হয়। এক একটি গরুর ২৫ থেকে ২৬ কেজি করে খাবার দিতে হয় দিনে। খাবার হিসেবে থাকে ধানের কুড়া, গমের ভুসি, মসলার খৈল, কালোজিরার খৈল, গাজর, মিষ্টিকুমড়া। শুধু তাই না এসব গরুর শরীর ম্যাসাজ করার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যখন যেটা ছেড়ে দেওয়া হয় অটো মেশিন লাগানো আছে সেখানে দিয়ে নিজের ইচ্ছামতো শরীর ম্যাসাজ করে নেয়। আবার দুই বেলা গোসল করাতে হয়। মাথার ওপর সবসময় দুটো ফ্যান ঘোরে। আছে পানির জন্য মুখের সামনে বড় পাত্র আর ঘুমানোর জন্য নরম বিছানা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close