নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৫ জুলাই, ২০২০

দেশে ৩২ দিন পর মৃত্যু ৩০-এর নিচে

শীর্ষে ঢাকা, কম ময়মনসিংহে

৩২ দিন পর দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর সংখ্যা ৩০-এর নিচে নেমে এসেছে। এর আগে গত মাসের প্রথম দিন (১ জুন) ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর আর মৃত্যুর সংখ্যা ৩০-এর নিচে নামেনি। এর মধ্যে গত ৩০ জুন সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়। দেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

প্রায় এক মাস পর মৃতের সংখ্যা ২০ এপ্রিল ১০০ ছাড়িয়েছিল। মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায় গত ২৫ মে। গত ১০ জুন তা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার ছাড়িয়েছিল ২২ জুন। আর প্রথম মৃত্যুর ৮৪ দিন পর গতকাল শনিবার মৃতের সংখ্যা দুই হাজারের কাছে পৌঁছে গেল। এই হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াতে সময় লেগেছিল ২ মাস ৭ দিন। পরের ৫০০ জনের মৃত্যু ঘটে ১৬ দিনের মধ্যে। তার পরের ৫০০ জনের মৃত্যু ঘটে ১২ দিনে। মৃতের তালিকায় আরো ৪৯৭ জন যোগ হতে সময় লাগল ১৩ দিন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাসবিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে জানানো হয়, দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৯ জন মারা গেছেন। এটিই ৩২ দিনে সর্বনিম্ন মৃত্যুর সংখ্যা। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে ১ হাজার ৯৯৭ জন মারা গেলেন।

একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৩ হাজার ২৮৮ জন। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেই সবচেয়ে বেশি রোগী মারা গেছেন। আর সবচেয়ে কম মারা গেছেন ময়মনসিংহ বিভাগে।

নাসিমা সুলতানা বলেন, এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৪১ জন, চট্টগ্রামে ৫২১, রাজশাহীতে ১০১, সিলেটে ৮৪, খুলনায় ৮২, বরিশালে ৬৭, রংপুরে ৫৩ এবং ময়মনসিংহে ৪৮ মারা গেছেন। এ ছাড়া এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১ হাজার ৫৮৭ আর নারী ৪১০ জন।

এদিন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে আরো ১৩ হাজার ৮৭১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৪ হাজার ৭২৭টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৪টি।

তিনি জানান, নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন আরো ৩ হাজার ২২৮ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরো ২৯ জন। এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৯৯৭ জনের। নতুন করে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৯ জন, চট্টগ্রামে ৪, রাজশাহীতে ৭, সিলেটে ৩, খুলনায় ৩, বরিশালে ২ এবং ময়মনসিংহে একজন। সুস্থ হয়েছেন আরো দুই হাজার ৬৩৭ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭০ হাজার ৭২১ জনে।

করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে অনুরোধ করেন অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মনের ওপর চাপ তৈরি করায় অনেকের নিয়মিত ঘুম ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো ?দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন। নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close