নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ জুন, ২০২০

দেশে মৃত্যু বেড়ে ৭৪৬

করোনায় আক্রান্ত ৫৫ হাজার ১৪০

দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হলো। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৪৬ জনে। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৫ জন। এতে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ১৪০ জন। গতকাল বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাসবিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন।

তিনি ৫০টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে আরো ১৫ হাজার ১০৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৫১০টি। এ নিয়ে দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরো ২ হাজার ৬৯৫ জনের দেহে। ফলে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ১৪০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরো ৩৭ জনের। এ নিয়ে মৃত্যু হলো ৭৪৬ জনের। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৪৭০ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৫৯০ জনে।

নতুন করে যারা মারা গেছেন তাদের ২৮ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন রংপুর বিভাগের এবং একজন করে সিলেট ও খুলনা বিভাগের। ৩১ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, পাঁচজন বাসায় এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বয়সের দিক থেকে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব ১২ জন এবং সত্তরোর্ধ্ব চারজন মারা গেছেন।

আগের দিনের বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৭ জন মারা গেছেন। ১২ হাজার ৭০৪টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরো ২ হাজার ৯১১ জনের দেহে, যা এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু সমানসংখ্যক থাকলেও কমেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৪০ জনের। সেটি জানানো হয় ৩১ মের বুলেটিনে।

বুধবারের বুলেটিনে বলা হয়, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এখন পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনার সুস্থতার হার ২১ শতাংশ ০২ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৩৯৫ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৬ হাজার ৪৯৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৩৭ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৩৬ জন। দেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৭ হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারা দেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১১২। রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে করোনা ডেডিকেটেড ২ হাজার বেডের হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৪২৮ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৯২ হাজার ৮১৩ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪৫ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮৫ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৭ হাজার ৮২৮ জন।

দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেওয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।

ডা. নাসিমা বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close