এক দিনে রেকর্ড ২ হাজার ৫২৩ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪২ হাজার ৮৪৪ জন। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আরো ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে; ফলে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৮২ জন। সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরো ৫৯০ জন। সব মিলে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা গতকাল দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে ১২ হাজার ৯৮২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১১ হাজার ৩০১টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরো ২ হাজার ৫২৩ জনের দেহে, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।

নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৯ জন পুরুষ, চারজন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের দুজন, সিলেট বিভাগের একজন এবং বরিশাল বিভাগের একজন রয়েছেন। বয়সের দিক থেকে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন, ষাটোর্ধ্ব ছয়জন, সত্তরোর্ধ্ব দুজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সি একজন রয়েছেন। বুলেটিনে বলা হয়, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এখন পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

গত বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জন মারা গেছেন। ৯ হাজার ৩১০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরো ২ হাজার ২৯ জনের দেহে, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যাও যেমন বেড়েছে, তেমনি শনাক্তের সংখ্যা হয়েছে নতুন রেকর্ড। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ২৮ জনের। এ তথ্য জানানো হয় গত ২২ মের বুলেটিনে। বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়ানো করোনাভাইরাসের প্রকোপে গোটা বিশ্ব মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সোয়া ৫৯ লাখে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার। তবে ২৬ লাখের মতো রোগী এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।

"