পার্থ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা থেকে

  ৩০ মে, ২০২০

পশ্চিমবঙ্গে শীর্ষ জেএমবি নেতা গ্রেফতার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জেএমবির শীর্ষ নেতা আবদুল করিমকে। জঙ্গিপুর থেকে এসটিএফ এবং জেলা পুলিশ একযোগে তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। সে দেশের অন্যতম তিন তালিকাভুক্ত জেএমবি জঙ্গির মধ্যে অন্যতম।

এসটিএফের গোয়েন্দাদের দাবি, এই মুহূর্তে এই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তিন শীর্ষ নেতার একজন করিম। সংগঠনের অর্থ জোগাড় থেকে বিস্ফোরক সরবরাহ এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল তার। বর্তমানে তিনি সংগঠনের প্রধান সালাউদ্দিন সালেহিনের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি গোয়েন্দাদের। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে দলাই লামার বুদ্ধগয়া সফরের সময় সেখানে বিস্ফোরণের ছক কষে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পেছনে থাকা নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জেএমবি। ততদিনে জেএমবির সংগঠন দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং সালাউদ্দিন সালেহিন, জহিদুল ইসলামসহ শীর্ষ নেতারা ভারতে সংগঠন বিস্তার করা শুরু করেছে। খাগড়াগড়ের সঙ্গে সঙ্গে বেলডাঙা, বীরভূমের সব মডিউল ভেঙে যাওয়ায়, তারা নতুন নিয়োগ করা যুবকদের নিয়ে তৈরি করে ধূলিয়ান মডিউল।

মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, সূতিসহ জঙ্গিপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় সেই সংগঠন তৈরি হয়। ধূলিয়ান মডিউলকেই ব্যবহার করা হয় বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ধূলিয়ান মডিউলের অন্যতম চাঁই পয়গম্বর শেখ এবং জমিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। সেই সময় তল্লাশি চালাতে গিয়ে সামশেরগঞ্জে আবদুল করিমের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৫০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক। কিন্তু গোয়েন্দাদের চোখে ধুলা দিয়ে পালিয়ে যায় করিম। ধরা পড়ে মডিউলের আরো এক সদস্য ছোট করিম। এরপর বিভিন্ন সময়ে ধূলিয়ান মডিউলের বিভিন্ন সদস্য পাকড়াও হয়েছে। কিন্তু অধরা থেকে যায় বড় করিম।

গোয়েন্দাদের দাবি, এই দুই বছরে জেএমবির সংগঠনে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। জহিদুল ওরফে কৌসরের সঙ্গে সালাউদ্দিনের আদর্শগত বিরোধ থেকে এদেশের জেএমবি সংগঠনেও আড়াআড়ি ভাগ তৈরি হয়। দক্ষিণ ভারত থেকে একে একে ধরা পড়ে কৌসর এবং তার ঘনিষ্ঠরা। গত বছরের গোড়ার দিকে সালাউদ্দিন তৈরি করে জামা’আতুল মুজাহিদিন হিন্দ অর্থাৎ জেএমবির ভারতীয় শাখা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close