আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১২ এপ্রিল, ২০২০

করোনায় মৃত্যু লাখ ছাড়াল

বিশ্বে সেকেন্ডে আক্রান্ত ১৩

বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তান্ডব প্রবল হয়ে উঠেছে। কোনো কোনো দেশে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমলেও তাতে স্বস্তি ফিরছে না। কারণ দেশে দেশে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। সংখ্যায় হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড। এরই মধ্যে বিশ্বে নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারির ১০১তম দিনে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১ লাখ। আর ২১০ দেশ ও অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭২ হাজার। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিতে এ পর্যন্ত প্রাণহানি প্রায় ৩৭ হাজার। স্পেনে প্রায় ১৬ হাজার, ফ্রান্সে ১৩ হাজার এবং যুক্তরাজ্যে প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মারা গেছেন দেড় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি। বিশ্বে প্রতি দেড় মিনিটে করোনায় মারা যাচ্ছেন একজন মানুষ আর প্রতি সেকেন্ডে আক্রান্ত প্রায় ১৩ জন মানুষ।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুসারে, বিশ্বে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মোট মৃত্যু ১ লাখ ছাড়িয়েছে শুক্রবার মধ্যরাতেই। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। আর মৃতের সংখ্যায় এগিয়ে ইতালি। তবে যেকোনো মুহূর্তে ইতালিকে হটিয়ে করোনায় মৃত্যুতেও শীর্ষে চলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত মোট মানুষের সংখ্যা ১৭ লাখ ৫ হাজার ৭৬৬ জন। এদের মধ্যে শুক্রবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৯৪ হাজার ৬২৫ জন। চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৪ জন। এছাড়া শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৬ হাজার ৯৭১ জন। ফলে এই ভাইরাসে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ২৩০ জনে।

করোনাভাইরাসে মৃত্যুর তালিকায় এখনো বিশ্বের শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে ইতালি। শুক্রবার সেখানে মারা গেছে আরো ৫৭০ জন এবং নতুন সংক্রমিত হয়েছে ৩ হাজার ৯৫১ জন। সব মিলিয়ে সেখানে মারা গেছেন ১৮ হাজার ৮৪৯ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৭ জন।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। শুক্রবার সারা দিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে আরো ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ। ফলে দেশটিতে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ২ হাজার ৮৭৬ জন। দেশটিতে মারা গেছে মোট ১৮ হাজার ৭৪৭ জন। এদের মধ্যে শুক্রবার মাত্র একদিনেই মারা গেছে দেশটির ২ হাজারের বেশি মানুষ। এটি করোনায় কেনো দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যায় এর পরেই রয়েছে ইউরোপের পাঁচ দেশ স্পেন, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। স্পেনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ২৭৩ জন এবং করোনায় মারা গেছেন ১৬ হাজার ১০৬ জন।

জার্মানিতে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ১৭১ জন এবং মারা গেছেন মোট ২ হাজার ৭৩৬ জন। আর ফ্রান্সে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৬৯ জন এবং মোট মৃত্যু ১৩ হাজার ১৯৭ জন।

যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ৭৩ হাজার ৭৫৮ জন। মারা গেছেন ৮ হাজার ৯৫৮ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল চীন থেকে, কিন্তু এই দেশ সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার অনেকটাই কমিয়ে এনেছে দ্রুত। এখন দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ৮১ হাজার ৯৫৩ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৩৯ জন। তবে শনিবার সকালে দেশটিতে নতুন করে আরো ৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৪২ জন এবং মারা গেছেন মাত্র একজন। এর আগে দ্রুত মঙ্গলবার দেশটিতে করোনায় কেউ মারা যায়নি। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর সেদিনই প্রথমবারের মতো মৃত্যুহীন একটি দিন পার করেছে দেশটি। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় করোনার কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত উহানের লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। করোনার আঘাত সামলে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে চীন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরান। দেশটিতে এই মুহূর্তে মোট ৬৮ হাজার ১৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

ইতালি : ১৮,৮৪৯

স্পেন : ১৬,১০৬

যুুক্তরাষ্ট্র : ১৮,৭৪৭

ফ্রান্স : ১৩,১৯৭

যুক্তরাজ্য : ৮,৯৫৮

ইরান : ৪,২৩২

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close