রাজশাহী ব্যুরো

  ২৯ মার্চ, ২০২০

রাজশাহীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৫১৯ জন

ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে যাচ্ছে শিক্ষানগরী খ্যাত রাজশাহী। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ১০৬ জন বিদেশফেরত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় রয়েছেন ৫১৯ জন বিদেশফেরত ব্যক্তি। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।

এ তথ্য নিশ্চিত করে গত শুক্রবার রাজশাহী সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০৬ জন বিদেশফেরত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। গত শুক্রবার পর্যন্ত মোট বিদেশফেরত ৫১৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো এখনো রোগী শনাক্ত হয়নি।

প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানানো হয়, নতুন এই ১০৬ জনের মধ্যে ভারত থেকে এসেছেন ৮৮ জন, মালয়েশিয়া থেকে দুই, সৌদিআরব থেকে তিন, ইংল্যান্ড থেকে এক, দুবাই থেকে তিন, উগান্ডা থেকে এক, সুদান থেকে দুই, ওমান থেকে তিন, চীন থেকে এক ও ফিলিপাইন থেকে দুজন।

রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় ১৯ জনকে আনা হয়েছে। আর জেলার মধ্যে চারঘাট উপজেলায় রয়েছেন ৪৬ জন, পুঠিয়ায় চার, দুর্গাপুরে এক, মোহনপুরে ২০, তানোরে চার, পবায় আট ও গোদাগাড়ীতে চারজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ১৪ দিন তারা বাড়িতে থাকবেন।

সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ১ মার্চ থেকে রাজশাহী জেলায় মোট ৭১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ দিন পূর্ণ হওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১৯২ জনকে। গত শুক্রবার পর্যন্ত মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫১৯ জন। তারা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না। পুলিশের সহায়তায় তাদের বাড়িগুলো চিহ্নিত করে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে তাদের মনিটরিং করা হচ্ছে।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য বলেন, ৫১৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলেও এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে কোনো করনো আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। আর যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তারা ১৪ দিন নিজ বাড়িতেই অবরুদ্ধ থাকবেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলবেন।

এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও তাদের নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানেন তবে তাদের বাধ্যতামূলক অফিসিয়াল কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এছাড়া নির্দেশনা না মানলে সংক্রামক ব্যাধি আইনে তাদের জরিমানা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close