নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

পিবিআইয়ের তদন্ত

সালমান শাহ আত্মহত্যাই করেছেন

তৃতীয় দফা তদন্তেও চিত্রনায়ক সালমান শাহকে হত্যার অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি; দুই যুগ আগে তুমুল জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্র তারকা ‘আত্মহত্যাই করেছিলেন’ জানিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গতকাল সোমবার ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যুরোর মহাপরিচালক বনজ কুমার মজুমদার বলেন, চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে পারিবারিক কলহ আর স্ত্রী সামিরার কারণে মাকে ছেড়ে দূরে থাকার মানসিক যন্ত্রণায় ভুগেই অভিমানী সালমান শাহ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে তাদের মনে হয়েছে।

ডিআইজি বনজ কুমার বলেন, চিত্রনায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যাই করেছেন বলে দীর্ঘ তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। আর এর পেছনে রয়েছে পাঁচটি কারণ। এগুলো হলো :

১. সালমান শাহ ও চিত্রনায়িকা শাবনূরের অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা।

২. স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ।

৩. সালমান শাহর মাত্রাতিরিক্ত আবেগ প্রবণতা এবং একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়া বা আত্মহত্যার চেষ্টা করা।

৪. মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা, জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে পুঞ্জীভূত অভিমানে রূপ নেওয়া।

৫. সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনের অপূর্ণতা।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তার মধ্যে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে সালমান শাহর (চৌধুরী মো. ইমন) লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন ঘটনাটিকে আত্মহত্যা ধরে সে সময় অপমৃত্যু মামলা হলে তাতে আপত্তি জানায় তার পরিবার। ১৯৯৭ সালে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ এবং ২০১৪ সালে বিচার বিভাগীয় তদন্তে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়। সালমানের মা নীলা চৌধুরী সেসব প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করলে তদন্তভার আসে পিবিআইয়ের হাতে।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর সালমানের তখনকার স্ত্রী সামিরাসহ ৪৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাদের মধ্যে ১০ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্তের ভিত্তিতে পিবিআই ৬০০ পৃষ্ঠার ডকেট তৈরি করেছে। এই তদন্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার আদালতে জমা দেওয়া হবে।

‘আগের দুই দফা ময়নাতদন্তে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিয়ে, তদন্তকালে সবার সাক্ষ্য বিবেচনা করে পিবিআই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ তদন্তে পাওয়া যায়নি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close