নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরবাসীর প্রত্যাশায় সুষ্ঠু পরিবেশ
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি। এদিকে আগেই ঢাকার দুই সিটি ভোটে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে এবং সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর স্বাক্ষরিত এ
সংক্রান্ত চিঠি এরই মধ্যে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কয়েকটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এগুলো হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্যে অগ্রিম বাজেট প্রণয়ন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনে লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুতকরণ এবং নির্বাচনী এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
গত ২২ ডিসেম্বর দুই সিটির তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাতে ভোটগ্রহণের তারিখ ৩০ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হলেও পরে সরস্বতী পূজার কারণে ভোটগ্রহণের তারিখ দুই দিন পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন।
এই নির্বাচনে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল মেয়র প্রার্থী দিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত আওয়ামী লীগ (নৌকা) ও বিএনপির (ধানের শীষ) মধ্যে। সাধারণ মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হলো কোন দুজন নগরপিতার দায়িত্বে আসছেন।
দক্ষিণের একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট চান তারা। ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন ধানমন্ডি, কলাবাগান ও কাঁটাবন এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা হলে তারা এ কথা জানান।
কলাবাগানের বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রচার-প্রচারণার সময় নগরজুড়ে যে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল সেটা যেন ভোটের দিনও থাকে। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে চাই।
কাঁটাবনের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘কাল সকালে ভোট। নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত সুন্দর রয়েছে। কালকেও যেন এমনটাই থাকে। কোনো ধরনের আতঙ্ক ছাড়াই আমরা ভোটকেন্দ্রে যেতে চাই।’
বনশ্রীর বাসিন্দা মোফাজ্জল আলম বলেন, ১০ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা যেভাবে সুন্দর পরিবেশে গণসংযোগ করেছেন। ভোটের পরিবেশটাও সেইরকম সুন্দর চাই। নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমাদের এটাই চাওয়া।
"