নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

কাল উদ্বোধন

এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলাজুড়ে থাকবেন বঙ্গবন্ধু

আগামীকাল রোববার শুরু হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন। এরপরই মেলা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা হবে নান্দনিক। মেলাজুড়ে থাকবেন বঙ্গবন্ধু। মেলায় বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত ২৫ গ্রন্থ নিয়ে মাসজুড়ে আলোচনা হবে। সেইসঙ্গে উদ্বোধনের দিন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর লেখা তৃতীয় গ্রন্থ ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর মোড়ক উন্মোচন করবেন।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলাজুড়ে উদ্ভাসিত হবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের চেতনা, স্বপ্ন ও আগামী দিনের কার্যক্রম প্রতিভাত করতে এবারের মেলা উৎসর্গ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে। একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, চলতি বছর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলা একাডেমি। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী রয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ওপর নানা বিষয়ে ১০০ গ্রন্থ প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি।

মেলার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ১ হাজার পুলিশ সদস্য। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারে। বেড়েছে আনসার সদস্যের সংখ্যাও।

মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে এবারের মেলা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে। শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি। একদিন পিছিয়ে শুরু হলেও মেলার সময়সীমা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের আয়োজনের কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ৩ তারিখ ছেড়ে দিতে হবে।

এর আগে লিখিত বক্তব্যে জালাল আহমেদ বলেন, এবারের মেলায় সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থাগুলো থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। যেখানে ৪৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৮টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি অংশে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সবমিলে ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা সংস্থাকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লিটল ম্যাগ চত্বর থাকছে। একই স্থানে শিশু চত্বর তৈরি করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন শিশুপ্রহর ঘোষণা হবে। মেলায় বাংলা একাডেমিসহ অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে।

জালাল আহমেদ বলেন, মেলায় প্রবেশের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ছয়টি পথ থাকবে। সেইসঙ্গে থাকছে লেখক বলছি, গ্রন্থ উন্মোচনের আয়োজন।

করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের বিষয়ে এবারের একুশে গ্রন্থমেলায় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। আমাদের বৈঠকগুলোয় এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। এর জন্য ঢাকার সিভিল সার্জনের কার্যালয় আমাদের সাহায্য করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close