নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

ভোট নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে : সিইসি

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরাপদ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ কার্যক্রম দেখতে এসে সিইসি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।

তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে ভোটারদের আহ্বান জানাব, শনিবার তারা যেন প্রত্যেকেই ভোটকেন্দ্র যান। ইভিএমে ভোটদানের ব্যাপারে আমাদের প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যে কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা তারা করবে। ইভিএমে ভোট দিয়ে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, এই আহ্বান আমি ভোটারদের প্রতি জানাই। সিইসি হুদা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা বারবার বলেছি, তারা নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে দায়িত্ব পালন করবে। প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, বারবার বলেছি, সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে তারা দায়িত্ব পালন করবেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, তাদেরও সেই রকম ইনস্ট্রাকশন দেওয়া আছে।

মেয়র ও কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা তাদের ‘ইচ্ছা ও সুবিধামতো, নির্বিঘেœ, বিনা বাধায়’ প্রচার চালাতে পেরেছেন দাবি করে সিইসি বলেন, এতে ভোটারদের মধ্যে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং তাদের আস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করি। আশা করি, আজকের নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।

নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থাহীনতার এই সংস্কৃতি থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বেরিয়ে আসতে হবে মত দিয়ে সিইসি বলেন, তাদেরই দেখতে হবে কতখানি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশন, এখানে আমার বলার কিছু নেই।

এক প্রশ্নে সিইসি বলেন, ভোটাররা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, এটা এখন তারা মনে করেন না বলে আমি মনে করি। নির্বাচন যখনই প্রতিযোগিতামূলক হয়, ভোটাররা বের হয়ে আসেন।

মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, তারা যেন তাদের অবস্থান নিয়ে থাকেন। তারা যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সৃষ্টি না করেন। ভোটার ভোট দেবেন, ভোট দিয়ে চলে আসবেন, ভোটারদের প্রতি যেন আস্থা রাখে। সুশৃঙ্খলভাবে তারা যেন নিজ নিজ অবস্থানে অবস্থান করেন।

ভোট সামনে রেখে ‘জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের’ ঢাকায় জড়ো করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ আওয়ামী লীগের রয়েছে- সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিশেষ কোনো নির্দেশনা ইসির আছে কিনা, সেই প্রশ্ন রাখেন একজন সাংবাদিক।

জবাবে সিইসি বলেন, এ রকম বিশেষভাবে আমরা বলিনি। কে কোন দলের সেটা বড় কথা না। তবে সন্ত্রাসী যদি ভেতরে ঢোকে অথবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তবে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেটা দেখবে। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নীতিমালা মেনেই দায়িত্ব পালন করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন হুদা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close