নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়তে চাই : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেশাদার প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাটা জরুরি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এ পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা এবং সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নতুন নতুন অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ও বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে সেনানিবাসও গড়ে তুলেছি আমরা। দেশের জন্য যখন যেটা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সচেতন এবং সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ, আমরা একটা পেশাদার এবং প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চাই।’ গতকাল রোববার সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ২০১৯ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়্যার কোর্স ২০১৯-এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাতির পিতা চমৎকার সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি আমাদের প্রতিরক্ষা নীতিমালা দিয়ে গিয়েছিলেন ১৯৭৪ সালে। তারই আলোকে আমরা ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করতে, যুগোপযোগী করতে সেটা হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। সেনাবাহিনীর জন্য নতুন আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় থেকে শুরু করে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা, আমরা বিভিন্ন জায়গায় সেনানিবাসও গড়ে তুলেছি নতুন কয়েকটি। যেটা দেশের জন্য যখন প্রয়োজন আমরা সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন এবং সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ আমরা চাই, একটা পেশাদার প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠা করতে।’

পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা চলতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন আমাদের সদস্যরা চলতে পারেন, যুদ্ধ সরঞ্জামের সঙ্গে যেন তাদের পরিচিতি থাকে এবং তারা যেন যেকোনো ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে দ্বিধাগ্রস্ত না হন, সেদিকে লক্ষ রেখেই ট্রেনিং এবং সমরাস্ত্র সম্পর্কে আমরা যথেষ্ট সচেতন এবং যথাসম্ভব আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে আমরা সেটা জোগাড় করে দিচ্ছি এবং তৈরি করছি।’

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসার পাশাপাশি তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এ দেশের জনগণের সেবা করা আমাদের সবারই দায়িত্ব। কারণ জনগণের অর্থেই আমাদের বেতন-ভাতা, যা কিছু সবই সাধারণ মানুষের অর্থে। কাজেই তাদের জীবনটাকে সুন্দর করাÑ সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

দেশের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে জাতীয় নিরাপত্তা বহু গুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে; যুগের সঙ্গে সবকিছুর একটা পরিবর্তন হচ্ছে। তাছাড়া এখন প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশটাকেও সেভাবে আমরা গড়ে তুলতে চাই।’

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন। প্রায় ৮৫ জন সশস্ত্র বাহিনী, জনপ্রশাসন এবং বিদেশি সামরিক কর্মকর্তা ‘এনডিসি কোর্স-২০১৯’ এবং সশস্ত্র বাহিনীর ৩৮ জন কর্মকর্তা ‘এএফডব্লিউসি কোর্স-২০১৯’-এ অংশগ্রহণ করেন। ১৬টি দেশের সামরিক কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। দেশগুলো হচ্ছেÑ চীন, মিসর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, মালয়েশিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, যুক্তরাজ্য, মালি ও নাইজার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close