নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ নভেম্বর, ২০১৯

আবরার হত্যা

অভিযোগপত্র গ্রহণ চার আসামিকে গ্রেফতারে পরোয়ানা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আমলে নিয়ে পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ৩ ডিসেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য (গ্রেফতার করা গেল কিনা এ বিষয়ে প্রতিবেদন) দিন ধার্য করেন আদালত।

গতকাল সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। পলাতক আসামিরা হচ্ছে মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ ইসলাম ও মোস্তফা রাফিদ (এজাহার বহির্ভূত)।

গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিবির পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এ মামলার অভিযোগ পত্রে ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরো ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন অর্থাৎ মোট ২১ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ পত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং ২১টি আলামত ও আটটি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্র দাখিলের দিন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, আবরার হত্যায় সরাসরি অংশ নেন ১১ জন। বাকি ১৪ জন হত্যাকান্ডে বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত ছিলেন।

এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এএসএম নাজমুস সাদাত। এজাহারবহির্ভূত ছয়জন হলেন ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এস এম মাহমুদ সেতু ও রাফি। এদের মধ্যে প্রথম ১৬ জনের নাম হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ ছিল। বাকিদের নাম তদন্তে ওঠে এসেছে।

এদিকে আদালতে মামলার চার্জশিট পৌঁছানোর আগে আবরার হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম প্রতিবেদন জমার জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close