চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৯

মজুদ পচা পেঁয়াজ নদী-ডাস্টবিনে

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি

চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে এখন কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। কোথাও আরো বেশি। ক্রমেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে এর মূল্য। ঠিক তখনই দেশের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ আমদানিকারক ও আড়তদারদের বাণিজ্যকেন্দ্র খাতুনগঞ্জের রাস্তা ও ডাস্টবিন পচা পেঁয়াজে সয়লাব হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভারতের পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ হওয়ার সুযোগ নিয়ে মজুদ করে। এ কারণেই পচনশীল এই পেঁয়াজে পচন ধরায় রাতের অন্ধকারে ডাস্টবিন ও রাস্তায় যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

খাতুনগঞ্জের কয়েকটি আড়তে পচে যাওয়া মিয়ানমারের পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হচ্ছে নদীতে-ভাগাড়ে। গত বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর রাতে খাতুনগঞ্জে সিটি করপোরেশনের ময়লার ভাগাড় থেকে প্রায় ২০ টন পচা পেঁয়াজ সরিয়েছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর নগরের ফিরিঙ্গি বাজার সেতুঘাট এলাকায় বস্তায় বস্তায় পচা পেঁয়াজ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে সময়মতো টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ বাজারে না আসায় মূল্যবৃদ্ধিসহ সংকট তীব্র হয়েছে বলে মনে করছেন চট্টগ্রামের পেঁয়াজের বাজার সংশ্লিষ্টরা।

দেশের অন্যতম ব্যবসাকেন্দ্র খাতুনগঞ্জ-চাকতাই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন মিয়ানমারের ১২-১৫ জন ব্যবসায়ী।

আমদানিকারকদের সঙ্গে কারসাজি করে খাতুনগঞ্জে যেসব কমিশন এজেন্ট ও আড়তদার পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন। তারা তা বেশি দামে বিক্রি করতে কমিশন এজেন্টদের বাধ্য করা হচ্ছে।

জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে বেশি সময় লেগে যাওয়ায় গরমে পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। যেগুলো ভালো থাকছে সেগুলোরও মান কমে যাচ্ছে। এতে আমদানিকারকরা লোকসানে পড়ছেন।

খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা জানান, ১৫ থেকে ২০টি পেঁয়াজের আড়ত আছে। মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এখানে আসতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লেগে যায়। এরপর আড়তে রাখা পেঁয়াজ দ্রুত পচে যাচ্ছে। প্রতিটি আড়তে প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ বস্তা করে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদ আলম জানান, রাতে খাতুনগঞ্জের ময়লার ভাগাড়ে বস্তায় বস্তায় পচা পেঁয়াজ ফেলে যাচ্ছে খাতুনগঞ্জের শ্রমিকরা। কর্ণফুলী নদীর পাড়েও পচা পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ টন ধারণক্ষমতার চারটি গাড়ি দিয়ে এসব বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার পর ৬৬ হাজার ১৬২ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (এলসি) খোলা হলেও এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসেছে মাত্র ছয় হাজার টন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close