নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ নভেম্বর, ২০১৯

দেশ কাঁপানো যত ঘূর্ণিঝড়

সাজানো-গোছানো বিশ্ব লণ্ডভণ্ড করতে একটি বড় মাপের ঘূর্ণিঝড়ই যথেষ্ট। এমন একেকটি ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে মিশে থাকে হাজারো ধ্বংস, প্রাণক্ষয় আর আর্থিক লোকসান। তাই এ দুর্যোগ কারো কাম্য হতে পারে না। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়ই নানা নামের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এমনই এক ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আতঙ্কে ভুগছে বাংলাদেশ ও ভারত। অতিপ্রবল এই ঘূর্ণিঝড় বিধ্বংসী রূপ নিয়ে এগিয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে; জারি করা হয়েছে মহাবিপদ সংকেত। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতির ‘বুলবুল’ নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক আবহাওয়া অধিদফতর। জোয়ারের সময় ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে এবং ওই সময় উপকূলজুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে সাত ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়া অধিদফতরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস। এই ঝড়ে আমাদের দেশে সম্পদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিগত সময়ে দেশে আঘাত হানা বড় ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এই আয়োজন।

‘মোরা’ : কক্সবাজার উপকূল বিধ্বস্ত হয় ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে। ২০১৭ সালের ৩০ মে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ে ৫৪ হাজার ৪৮৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মারা যায় আটজন, ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে যাওয়া, গাছপালা উপড়ে পড়া, খেত-খামার নষ্ট হওয়া, বাঁধ ভেঙে বন্যার সৃষ্টি হওয়াসহ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় কয়েক কোটি টাকায়।

‘মহাসেন’ : ২০১৩ সালের মে মাসের শুরুর দিকে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণাংশে নিম্নচাপজনিত কারণে উৎপত্তি ঘটে মহাসেনের। ১৪ মে এটি উত্তর-পূর্বাংশের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কার্যত জনজীবন অচল হয়ে পড়ে।

‘আইলা’ : ২০০৯ সালে ২৫ মে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আইলা। এতে ভোলার ৩০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়, জলোচ্ছ্বাস হয় ছয় থেকে সাত ফুট উচ্চতায়, কয়েকশ’ মাছের ঘের ভেসে যায়, কয়েক হাজার হেক্টর ফসল নষ্ট হয়, প্রাণ হারান ১৮ জন মানুষ। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ জনপদ।

‘সিডর’ : বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়ালতম প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলা ঘটে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর। এদিন সিডর নামের ঘূর্ণিঝড়টি দেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের ৩০টি জেলায় আঘাত হানে। বেসরকারি মতে প্রায় ২০ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এতে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। সরকারিভাবে ৩ হাজার ১৯৯ জনের মৃত্যু ও ১ হাজার ৭২৬ জনের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানানো হয়। ধারণা করা হয় সিডরে বয়ে আনা জলোচ্ছ্বাসে তাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close