নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ অক্টোবর, ২০১৯

বিশ্ব খাদ্য দিবস আজ

‘পুষ্টিকর খাদ্যে হবে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী’

নিরাপদ খাদ্যের জোগানের ভেতর দিয়ে ভবিষ্যতের নির্মল পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় চাই সমন্বিত জাগরণ। আমাদের চারপাশের পরিবেশ আজ নানাভাবে দূষিত ও বিপর্যস্ত। এ অবস্থায় সবার জন্য নিরাপদ খাদ্যের জোগান দেওয়া সত্যিই এক দুরূহ জটিল কাজ। কিন্তু আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং ভবিষ্যতের নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই নিরাপদ ও বিষমুক্ত খাদ্যের জোগান জরুরি। তাই রুখতে হবে বিষমুক্ত খাদ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ। এমন আহ্বানে আজ এলো বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ, পুষ্টিকর খাদ্যেই হবে আকাক্সিক্ষত ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী।’ এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে নজর দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আরো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে খাদ্য মন্ত্রণালয় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সকাল ১০টায় নির্ধারিত প্রতিপাদ্যের ওপর আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ঢাকা ছাড়াও দেশের জেলা উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

তিনি জানান, জাতীয় পর্যায়ে ঢাকায় সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠান, স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি হবে। এছাড়া বেতার ও টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার, মাসিক কৃষিকথার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ, জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার প্রকাশনা ও বিতরণ, মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে, খাদ্য দূষণকারীদের দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করে কঠোর আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বারসিক কর্তৃক আয়োজিত বিষ ও ভেজালমুক্ত খাদ্য; বর্তমান অবস্থা ও করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা।

গোলটেবিলে বক্তারা বলেন, একজন ভোক্তা ও ক্রেতা হিসেবে প্রথমত আমরা খাদ্যটাকে নিরাপদ দেখতে চাই। নিরাপদ মানে ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক রাসায়নিকমুক্ত খাদ্য। এ অবস্থায় খাদ্য উৎস ও উৎপাদনস্থলকেই প্রথমত নিরাপদ করাটা জরুরি। তারপর থাকছে খাদ্য সরবরাহ, পরিবহন, বিপণন, মজুতকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবেশন। জমির মাটি থেকে খাবার থালা অবধি খাদ্য নিরাপদ হওয়া জরুরি। খাবার নিরাপদ কি না এ নিয়ে নিয়মিত খাদ্য পরীক্ষাটাও জরুরি। আমরা যেমন খাবারে কোনো ভেজাল চাই না, আবার ফরমালিন-কার্বাইড বা ক্ষতিকর কোনো উপাদান খাবারে মিশে থাকুক তাও চাই না।

পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিলে আলোচনা করেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, গবেষক ও লেখক পাভেল পার্থ, ৭১ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. খালেদ শওকত আলী, মাহবুবুল আলম তাহিন, বারসিকের সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, পবার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, কবি কামরুজ্জামান ভূইয়া, যুব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. শহীদুল্লাহ, শাকিল ওসমান, প্রাকৃতিক কৃষির দেলোয়ার জাহান, বস্তিবাসী নেত্রী ঝুমুর বেগম আলম প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close